ফকির ফ্যাশনে ট্রাইটেকের পরিবেশবান্ধব এয়ার কন্ডিশনিং প্রযুক্তি
Published: 12th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ এইচভিএসি সলিউশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ট্রাইটেক বিল্ডিং সার্ভিসেস লিমিটেড সম্প্রতি দেশের অন্যতম পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফকির ফ্যাশন লিমিটেড-এর জন্য একটি পরিবেশবান্ধব এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম সরবরাহ ও বাস্তবায়ন করেছে। অত্যাধুনিক, এনার্জি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব এই কুলিং সিস্টেমটি ফকির ফ্যাশনের উৎপাদন কার্যক্রমে কার্যকরভাবে যুক্ত হয়, যা টেকসই শিল্পায়ন ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ফকির ফ্যাশন লিমিটেড নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত, যা প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার কর্মী নিয়ে তাদের উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের জন্য পোশাক তৈরি করে এবং সবসময় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।
ট্রাইটেক এই প্রকল্পে উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যা গ্যাস ইঞ্জিনের জ্যাকেট ওয়াটার থেকে চিলড ওয়াটার উৎপাদন করে। যা সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করছে। এর ফলে ফকির ফ্যাশন ইতোমধ্যে যে পরিবেশগত সুফল পাচ্ছে, তা বছরে প্রায় ৫০ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক গাছের সমপরিমাণ কার্বন হ্রাসে সহায়ক।
প্রথম পর্যায়ে, ফকির ফ্যাশন তাদের ৯ লাখ ৬৫ হাজার বর্গফুট কারখানার মধ্যে ২৮ হাজার ৫০০ বর্গফুট এলাকায় এই কুলিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করেছে। ভবিষ্যতে, তারা পুরো শিল্প ইউনিটে এই পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’