মৌলভীবাজার জেলার বৃহৎ হাওর হাকালুকি ও কাউয়াদীঘিতে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। স্থানীয় কৃষক জানান, অনুকূল আবহাওয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ ও ফলন ভালো হয়েছে। দুর্যোগ না হলে দেনা পরিশোধ করেও লাভের আশা করছে প্রান্তিক চাষিরা।

জেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় হাওর ও হাওরের বাইরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। আগাম জাতের (ব্রি-৯২) ধান জেলার হাকালুকি ও কাউয়াদীঘি হাওরে কাটা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৫০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, হাওর জনপদের কোথাও কৃষকরা ধান কাটছেন। আবার কাটা ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। রাস্তায় জমা করছেন পাকা ধানের স্তূপ। কয়েকদিন দিন আগ থেকে জেলায় অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিসহ দুটি হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

আইসিসির গ্রেপ্তার এড়িয়ে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন নেতানিয়াহু

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে হাকালুকি হাওরের আলীনগর, উত্তর বাগবন্দ, পাড়কান্দি, জাব্দা, ফুটবিল, চকিয়া, কাটুয়া, বিলাইবিল, বাগধলবিল, মেদাবিল, বারুঘরবিল, চাউংগাবিল, লালবিল এলাকায় কৃষকরা ধান কাটতে মাঠে নেমেছে। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় তারা খুশি।

হাকালুকি হাওর পারের আলীনগর গ্রামের বর্গাচাষি চুনু মিয়া জানান, এক একর জমিতে ৫০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন। একই এলাকার কৃষক দুরুদ মিয়া রাস্তায় ধানের স্তূপ দিচ্ছেলেন। এ সময় কথা হলে তিনি জানান, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধান ভালো হওয়ায় তারা খুশি। 

মাঠে ধান কাটছেন পাড়কান্দি এলাকার জয়নুল মিয়া জানান, তিনি তিন একর জমি চাষ করেছেন। ১৫০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন। তবে শিলাবৃষ্টির ভয় আছে।

হাওর পাড়ের জাব্দা গ্রামের আহাদ আলী জানান, পাঁচ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে। মহাজনের ঋণ পরিশোধ করেও লাভ হবে- এমনটাই তিনি মনে করছেন।

চলতি মৌসুমে হাওরে বি-৯০, বি-৯২ বি-২৮ জাতের ধান রোপন করা হয়।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন জানান, এ বছর জেলায় হাওর ও হাওরের বাইরে ৬২ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬২ হাজার ১০০ হেক্টর। চলতি বছর ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ধান ফলনের আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, জেলার হাওর অঞ্চলে ব্রি-৯২ জাতের ধানের ফলন সবচেয়ে ভালো হয়েছে। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়ার সঙ্গে এই জাতের ধান অভিযোজিত হয়েছে। ৩৫০ হেক্টর ধান কাটা শেষ হয়েছে।

ঢাকা/আজিজ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ