সিদ্ধিরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'সেফ দ্যা নিউ জেনারেশন অব বাংলাদেশ'র উদ্যোগে ঈদ পূর্নমিলনী-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার (১১ মার্চ) রাতে  সেফ দ্যা নিউ জেনারেশন অব বাংলাদেশ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে নাসিক ৭নং ওয়ার্ড কদমতলী এলাকায় এ ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত হয়ে।

এসময় রাসেল মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পূবালী ব্যাংক কালীর বাজার শাখার জি.

এম মাহবুবুর রহমান টনি, বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী সেকান্দার আলী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট রাশেদুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবির সাইফুল, নারায়ণগঞ্জ জেলা জজকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী নয়ন ঢালী,বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান জুয়েল, ডা. বেলায়েত হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সংগঠক আতাউর রহমান প্রিন্স, মো: ইসমাইল হোসেন। 

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিনিয়াস প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, অনলাইন বজ্রধ্বনি  সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন তৌহিদ, দৈনিক জনদর্পণ এর স্টাফ রিপোর্টার আহসানুল হাবিব সোহাগ প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে স্বাধীন যুব সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মো: সানী, মো: জাহিদুল ইসলাম ইকবাল, আকাশ, রাসেল, সিহান রাজ্জাক সঞ্চয়, সাদনান শাহরিয়ার সুদীপ্ত, ফজলুল হক, রুবেল, শিমুল, আল-আমিন, আরেফিনসহ
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

আলোচনা সভায় বক্তারা সমাজে সামাজিক সংগঠনের ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। সেফ দ্যা নিউ জেনারেশন অব বাংলাদেশ সামাজিক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে নিবেদিত থেকে এলাকার শিক্ষার প্রসার, অসহায়দের সহায়তা এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ সংগঠনের পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। 

এসময় ঈদ পূর্নমিলনী  অনুষ্ঠানটি আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয় এবং উপস্থিত সকলের আন্তরিক অংশগ্রহণে সফলতার স্বাক্ষর রাখে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ঈদ স গঠন র অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ