দুই কেজির ইলিশ বিক্রি হলো ছয় হাজারে
Published: 12th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে ২ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া-সংলগ্ন নাফ নদীতে জেলে মোহাম্মদ আলীর (৩৮) জালে ধরা পড়ে মাছটি। মোহাম্মদ আলী হ্নীলার দমদমিয়া এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে।
টেকনাফ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ফজর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী আলী হোসেন (৪০) মাছটি কিনে নেন। বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের চাহিদা বাড়লেও দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বাজারে অনেক ক্রেতা দাম শুনে ইলিশ না কিনেই ফিরে গেছেন।
মাছ ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, পয়লা বৈশাখ সামনে রেখে ছোট-বড় ইলিশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এত বড় ইলিশ সচরাচর দেখা যায় না। অনেক দিন পর বড় ইলিশের দেখা মিলেছে।
ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, তিনি সামান্য লাভ করে মাছটি ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। এ সময় মাছটি একনজর দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করেছেন।
জেলে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নাফ নদীতে অনেক দিন পর মাছ ধরার উদ্দেশ্যে জাল ফেলি। এ সময় বড় একটি মাছ জালে ধরা পড়ে। বড় মাছের চাহিদা বেশি, দামও ভালো। নদীতে এমনিতেও এখন বেশি মাছ মিলছে না। তবে বড় মাছ পাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি। পয়লা বৈশাখ সামনে রেখে ইলিশের চাহিদা বেড়েছে।’
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটি আসলেই ভালো খবর। এ আকারের মাছ মূলত গভীর সমুদ্রে থাকে, নাফ নদীতে পলির কারণে গভীরতা কমে যাচ্ছে। তাই মোহনা খনন করলে মাছ আরও বেশি ধরা পড়বে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি