মানিকগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আকাশ হোসেন (২১) নামের এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার মুকিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, যৌতুক হিসেবে শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য আকাশকে চাপ দিচ্ছিল পরিবার। এ ক্ষোভ থেকেই দেড় মাস বয়সী এক ছেলে রেখেও গলায় দড়ি দিয়েছেন তিনি। যদিও আকাশের বাবা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

প্রতিবেশীরা জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে আড়াই বছর আগে আকাশ হোসেনের সঙ্গে সুরমা আক্তারের বিয়ে হয়। সুরমার পরিবার তাদের মেনে নিলেও আকাশের বাড়ির পরিবার বিয়ে মানতে রাজি হয়নি। ছয় মাস পর তারা সম্পর্ক মেনে নিলেও যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে।

সুরমা আক্তারের ভাষ্য, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই ছিল। যৌতুক এনে না দেওয়ায় ছয় মাস আগে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তখন আকাশকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান সুরমা। এরই মধ্যে তাদের ছেলে সন্তান হয়।

তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীকে তাঁর বাবা-মা সবকিছু মেনে নেবে বলে ঈদের পর বাড়িতে ডেকে নেন। এর পর আবারও তাঁকে দিয়ে যৌতুকের জন্য চাপ দেন। তাদের মানসিক নির্যাতনে সে (আকাশ) আত্মহত্যা করেছে। দেড় মাসের ছেলে সন্তান নিয়ে আমি এখন কোথায় গিয়ে উঠব?’

আকাশের বাবা ফারুক হোসেনের দাবি, তারা যৌতুকের জন্য চাপ দেননি। ছেলের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার এস এম আমান উল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। লাশটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ য ত ক র জন য চ প দ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ