রাষ্ট্র ও সমাজকে পথশিশুদের প্রতি মানবিক হতে হবে
Published: 12th, April 2025 GMT
পথশিশুদের জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যেকের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। পথশিশুদের অধিকার, নিরাপত্তা, শিক্ষা, পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। পথশিশুদের প্রতি রাষ্ট্র ও সমাজকে মানবিক সাড়া দিতে হবে।
শনিবার বিকেলে লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (লিডো) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
১২ এপ্রিল আন্তর্জাতিক পথশিশু দিবস পালন উপলক্ষে লিডো এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় নিজেদের পিস হোম প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আলোচনা সভার পাশাপাশি মোবাইল ক্লিনিক সেবা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ লায়ন্স ক্লাবের শুভেচ্ছাদূত ও চেয়ারম্যান এ কে এম রেজাউল হক বলেন, পথশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি–বেসরকারি অংশীজনদের আরও দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে লিডোর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, এবার ‘অধিকারী প্রাণ, সম্মানী জীবন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক পথশিশু দিবস পালন করা হচ্ছে। এটা শুধু একটা স্লোগান নয়, এটা জীবনঘনিষ্ঠ বাস্তবতা। প্রত্যেকের দায়িত্ব এই শিশুদের পাশে দাঁড়ানো। রাষ্ট্র ও সমাজকে মানবিক সাড়া দিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.
সভায় ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার শিশু অধিকারকর্মীরা অংশ নেন।
দিবসটি উপলক্ষে খাবার বিতরণের পাশাপাশি লিডোর কর্ম এলাকা কমলাপুর এবং পিস হোমে মোবাইল ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সেখানে শতাধিক শিশুকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ ও পরামর্শ দেওয়া হয়। আলোচনা সভা শেষে পিস হোমের শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পথশ শ দ র অন ষ ঠ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী