বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েটে) ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  শিক্ষার্থীদের হলে প্রত্যাবর্তনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে অনেকটা উত্তেজনা বিরাজ করছে। কুয়েট প্রশাসন সার্বিক দিক বিবেচনা করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ২ টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ও হলে প্রবেশ করবেন বলে গত কয়েকদিন ধরে কুয়েট শিক্ষার্থীদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ (কুয়েট-১৯ পেজ) থেকে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। তবে হলে প্রবেশের জন্য কর্তৃপক্ষ তাদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছে।

রবিবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, কুয়েটে প্রবেশের প্রধান ফটক এবং আইটি পার্কের গেটে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কুয়েটে প্রবেশের অন্যতম কুয়েট পকেট গেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক নিরাপত্তা কর্মী জানালেন রমজান মাস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণার পর থেকে গেটটি বন্ধ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি প্রফেসর আবু ইউসুফ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে সার্বিক দিক বিবেচনা করে। শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তা জোরদার কিংবা পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি। শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা করলে আইডেন্টি কার্ড প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। তবে আবাসিক হলগুলো খোলার সিদ্ধান্ত না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের হলে থাকার সুযোগ নেই। ১১ এপ্রিল ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট থানায় দুই গাড়ি পুলিশ চেয়েছিলাম। ১৮ ফেব্রুয়ারি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকে ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হল বন্ধ থাকায় লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেকের টিউশনিসহ আয়ের উৎস নষ্ট হচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে ক্যাম্পাসে ঢুকবেন। তারা যাতে ক্যাম্পাসে ফিরতে না পারেন সেজন্য কুয়েট কর্তৃপক্ষ নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। এমনকি কুয়েট প্রশাসন বাইরের একজনকে উস্কানি দিয়ে তাকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে।

কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ মাছুদ বলেন, “শিক্ষার্থীরা যাতে বন্ধ থাকা ক্যাম্পাসে না ফেরে সেজন্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদেরকে বিভিন্নভাবে বোঝানো হয়েছে। বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনারকেও অবহিত করা হয়েছে।”

এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (নর্থ) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, “কুয়েটের পরিস্থিতি তারা অবগত আছেন। ক্যাম্পাসের ২টি গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব শ র

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ