প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান করবে। স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের বা ডিগ্রি প্রথম বর্ষে (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য সুবিধাদির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের বা ডিগ্রির শুধু প্রথম বর্ষে (২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের) অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য–এ লিংকে তে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আগামী ১৫ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হবে। ই-স্টাইপেন্ড সিস্টেমের ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করে লিংকের সিস্টেম ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জানতে ওয়েবসাইটে দেওয়া ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।

আরও পড়ুনকুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা, অংশ নিয়ে ইংল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ ০২ এপ্রিল ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে (ডিগ্রি ও ফাজিল ১ম বর্ষ) শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্য সুবিধাদি প্রদানের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত সময়সূচি ও নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সফটওয়্যারে নিম্নে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে সফটওয়্যারে এন্ট্রিকৃত শিক্ষার্থীদের আবেদনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ও বাছাই কমিটির রেজুলেশন অনলাইনে সফটওয়্যারে আপলোড করে PMEAT'র ই-স্টাইপেন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে forward করার তারিখ ও সময় ১৬ মে ২০২৫ সকাল ৯টা থেকে ২৭ মে রাত ১১:৫৯ টা পর্যন্ত। এই সময়ের পরে কোনো শিক্ষার্থীর আবেদন এন্ট্রি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে PMEAT'র ই-স্টাইপেন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে forward করা যাবে না।

উপবৃত্তি প্রদানের নিমিত্ত শিক্ষার্থী নির্বাচনের লক্ষ্যে সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরমে শিক্ষার্থী/পিতা/মাতার একাউন্ট নম্বর হিসাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে শুধু সচল ‘নগদ' একাউন্ট নম্বর এন্ট্রি করতে হবে।

আরও পড়ুনহার্ভার্ডে বৃত্তি নিয়ে এমবিএ’র সুযোগ বাংলাদেশিদের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইট এবং PMEAT'র ই-স্টাইপেন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের নোটিশ বোর্ডে পাওয়া যাবে।

স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের উপবৃত্তি সংক্রান্ত হেল্পলাইন 02-55000428, 01778964156 ও 01724596676 (অফিস চলাকালীন সকাল ৯:০০ টা থেকে বিকেল ৫:০০ টা পর্যন্ত হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো)।

আবেদন শেষ কবে—

আগ্রহীরা ১৫ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫,০০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৮,০০০ টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০,০০০ টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনপ্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ, মাসে মিলবে ২৫০০০০৩ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ক ষ র থ দ র উপব ত ত শ ক ষ বর ষ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ

দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।

এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ