গাজীপুরে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কিছু ট্রেন আটকা পড়েছে। আজ রোববার বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।

ট্রেনটির দায়িত্বে থাকা ট্রেন টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) আব্দুল আলিম প্রথম আলোকে বলেন, নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকায় যাচ্ছিল। গাজীপুর ও মৌচাকের মাঝামাঝি সালনা এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। পরে শিকল টেনে ট্রেনটির গতিরোধ করা হয়। তবে এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.

নাদিরুজ্জামান বলেন, ঢাকা–টাঙ্গাইল রেলওয়ে সড়কের সালনা এলাকায় ট্রেনের চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। তবে কেউ আহত হননি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাবনার পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিবহন কর্মকর্তা হাসিনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে পুরো উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন আটকা পড়েছে। ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করতে আসছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইনচ য ত ট র নট

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ