ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় বরাবরের মতো অন‌্যতম আকর্ষণ থাকে কসমেটিকস ও স্কিন কেয়ার পণ‌্য। এবারেও তার ব‌্যতিক্রম নয়। তবে এবার পণ‌্য ও আউটলেট বাছাইয়ে পেয়েছে ভিন্নতা। মানহীন ও ভেজাল পণ‌্যের ভিড়ে এবার অথেনটিক কসমেটিকস শপগুলোতে ছিল উপচে পরা ভিড়। দেশের সবচেয়ে বড় অথেনটিক রিটেইল আউলেট হারল‌্যান স্টোর রয়েছে বিক্রির শীর্ষে।

দেশব্যাপী এ রিটেইল শপের আউটলেটগুলোয় গত ঈদের তুলনায় বিক্রি অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন শপটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো.

গিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস। তিনি বলেন, “এরই মধ্যে আমরা সারা দেশের মানুষের কাছে বিশ্বস্ততাও অর্জন করেছি। আমরা মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সব অথেনটিক পণ্য স্টোরগুলোতে নিশ্চিত করেছি। এ স্টোরে এখন পাওয়া যাচ্ছে দেশি-বিদেশি ১৬টির অধিক ব্র্যান্ডের পণ্য।”

এছাড়া দেশজুড়ে চলছে “হারল্যান ঈদের খুশি, নতুন স্কুটিতে হবে বেশি’ ক্যাম্পেইন। দেশজুড়ে দেড় শতাধিক হারল্যান স্টোর আউটলেট, হারল্যান স্টোর ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট ও herlan.com ওয়েবসাইটে উপলব্ধ অথেনটিক পণ্যের সুবিশাল রেঞ্জ থেকে হাজার টাকার পণ্য কিনে এরই মধ‌্যে ৬ জন স্কুটি জিতেছেন। এর বাইরেও রয়েছে লাখ টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার জেতার সুযোগ। ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের জন‌্য আমাদের এই ক‌্যম্পেইনে ব‌্যাপক সাড়া মিলেছে।”

রাজধানীর গুলশান পিংক সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, উত্তরা জসিম উদ্দিন, বেইলি রোড আউটলেটগুলোয় ব‌্যাপক ভিড় দেখা গেছে। বিশেষ করে ঈদের আগে স্কিন এনালাইজার মেশিন ব‌্যবহার করে পণ‌্য বাছাইয়ে বেশ লম্বা লাইন দিতে হয়েছে ক্রেতাদের।

স্টোরগুলোতে ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে ছিলো লিপস্টিক, আইলাইনার, প্রেস পাউডার, ফাউন্ডেশন, লিপগ্লস, আইশেড কালার কসমেটিকস। এছাড়া ফেস ও হেয়ার সিরাম, ফেস ওয়াশসহ প্রয়োজনীয় পণ‌্য বেশি কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।

হারল্যান স্টোরের প্রতিটি ব্র্যান্ডের পণ্যই উচ্চতর গবেষণা ও ফর্মুলেশন দিয়ে তৈরি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সেরা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কাঁচামাল এনেই তৈরি হচ্ছে এসব পণ্য। যা ক্রমেই ক্রেতাদের মাঝে আস্থা ও নির্ভরতার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দিয়েছে হারল্যান স্টোরকে।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আউটল ট

এছাড়াও পড়ুন:

আমি থাকাকালে তাইওয়ানে হামলার ‘পরিণতি কী হবে’ চীন জানে: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীনের কর্মকর্তারা তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাইওয়ানে বিরুদ্ধে বেইজিং কোনো পদক্ষেপ নেবে না, কারণ ‘তারা এর পরিণতি কী হতে পারে তা জানে’। খবর আনাদোলুর।

রবিবার সিবিএস ৬০ মিনিটসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “তিনি (চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং) এবং তার কর্মকর্তারা খোলাখুলিভাবে বলেছেন, ‘ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আমরা কখনোই কিছু করব না’, কারণ তারা জানে এর পরিণতি কী হবে।” 

আরো পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

চীন আক্রমণ করলে তিনি মার্কিন বাহিনীকে তাইওয়ানকে রক্ষা করার নির্দেশ দেবেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেন, “এটি ঘটলে আপনি জানতে পারবেন এবং তিনি (শি জিনপিং) এর উত্তর বোঝেন।”

ট্রাম্প জানান, এশিয়া সফরকালে গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠকে তাইওয়ান প্রসঙ্গটি আসেনি। তাইওয়ান প্রসঙ্গটি বাদ পড়ার ঘটনায় অনেকেই অবাক হয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, “বৈঠকে তিনি (শি জিনপিং) এটি উত্থাপন করেননি, কারণ তিনি এটি বোঝেন ও খুব ভালোভাবে বোঝেন।”

তবে, জিনপিং কী বোঝেন তা ব্যাখ্যা করার জন্য চাপ দেওয়া হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, “এটি অন্য পক্ষ জানে, কিন্তু আমি এমন কেউ নই যে আপনাকে সবকিছু প্রকাশ্যে বলবো।”

তাইওয়ান ইস্যু দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের অন্যতম প্রধান উত্তেজনাপূর্ণ বিষয়। বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন একটি প্রদেশ বলে মনে করে, অন্যদিকে তাইপে ১৯৪৯ সাল থেকে স্বাধীনতার উপর জোর দিয়ে আসছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ