সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না।’ তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন মত থাকতে পারে। অবশেষে আমরা সবাই সবাইকে যেন শ্রদ্ধা করি। একে অপরের বক্তব্য, মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে, সেই অনুযায়ী আমরা অবশ্যই কাজ করব। কিন্তু আমাদের একে অপরের প্রতি যাতে শ্রদ্ধাবোধ থাকে, সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখা জরুরি।’

আজ রোববার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে ‘সম্প্রীতি ভবনের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘গৌতম বুদ্ধের যেই নীতি—অহিংসবাদ ও সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ, এটাই আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই, সবাই এখানে একসঙ্গে সুন্দরভাবে বসবাস করব। সেই উদ্দেশ্যে সব সময় কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি। এ দেশ সবার। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।’

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নয়াপল্টনে শ্রমিক দলের সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল

মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শ্রমিক সমাবেশ করছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

সমাবেশ ঘিরে বেলা ১২টা থেকে রাজধানী এবং এর আশপাশের জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন।

এদিকে সমাবেশ শুরুর আগে জাসাসের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন শুরু করেন। গানে অংশ নেন কণকচাঁপা, মৌসুমীসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী।

এই সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। নেতাকর্মীর রঙিন টুপি, টি-শার্ট, ব্যানার ও ঢোল নিয়ে উপস্থিত হন। 

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ