আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ, পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার
Published: 14th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাটিচাপা দেওয়া বস্তাবন্দী তিনটি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে মিজমিজি পশ্চিম পাড়া এলাকার নিহত লামিয়া আক্তারের স্বামী ইয়াসিন মিয়ার তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় একটি পুকুর থেকে বঁটিটি উদ্ধার করা হয়। পুকুরটি নিহত লামিয়ার ভাড়া বাসা থেকে ১০০ গজ দূরে।
গত শনিবার ওই পুকুর থেকে নিহত লামিয়া আক্তার ও তাঁর চার বছরের ছেলে আবদুল্লাহ রাফসান এবং বড় বোন স্বপ্না আক্তারের লাগেজভর্তি রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে পুলিশ। ওই লাগেজের ভেতরে নিহত লামিয়ার বাবা মৃত আবদুস সামাদ ও মা শাহনাজ বেগম এবং বড় বোন স্বপ্না আক্তারের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। নিহত লামিয়া পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মো.                
      
				
গত শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই নারীর খণ্ডিত ও এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন মিয়াকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
এ ঘটনায় নিহত লামিয়ার মেজ বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ইয়াসিন মিয়া, তাঁর বাবা দুলাল মিয়া ও বোন শিমু আক্তারকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় শনিবার বিকেলে পুলিশের আবেদনের পর ইয়াসিন মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুনদুর্গন্ধের সন্ধান খুঁজতে গিয়ে শিশুসহ তিনজনের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার১১ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।
যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই।
তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে।
যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। একারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের নবীর (সাঃ) ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, হাসিনার সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, মুসলিম বিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের নির্যাতন করেছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে আমরা তার সাক্ষী।
আমরা যেন এমন ভাবে রাজনীতি করি যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি কয়েম করবো আমরা।
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জুনায়েদ আল হাবীব আল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।