ভোলার লালমোহনে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা আপন খালাতো ভাই। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার ফুলবাগিছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

দুই শিশু হলো- ফুলবাগিছা গ্রামের রাকিবের ছেলে জোনায়েত (৬), আনিচল হক মিয়ার ছেলে শহিদুল (৮)। তারা ফুলবাগিছা বাজারে বেসরকারি ত্রকাডেমিতে পড়তো। জোনায়েত দ্বিতীয় ও শহিদুল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে জোনায়েত ও শহিদুল নানা বাড়িতে ছিল। তারা দুপুরে পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় তারা পুকুরে ডুবে যায়। স্থানীয়রা গোসল করতে গেলে তাদের মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখেন। তখনই উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
 
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক জাকিয়া সুলতানা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশু দুইটির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, তাদের পেটে প্রচুর পানি ছিল। 

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিহত শিশু দুটির পরিবার এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। তাই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ