Prothomalo:
2025-08-01@04:45:58 GMT

চাঁদ কীভাবে তৈরি হয়েছে

Published: 14th, April 2025 GMT

আমাদের চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞানীদের জানার আগ্রহ অনেক দিনের। এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে। সম্প্রতি চীনের চ্যাং’ই-৬ মহাকাশযানের সংগ্রহ করা নমুনা পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর চাঁদ আসলে প্রাচীন কোনো ধ্বংসাবশেষ। চাঁদের দূরবর্তী দক্ষিণ মেরু-এইটকেন ইমপ্যাক্ট বেসিন থেকে মাটির নমুনা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

অনেক বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা চাঁদের উৎপত্তি জানতে গবেষণা করছেন। চীনের চ্যাং’ই–৬ মহাকাশযান চাঁদ থেকে চন্দ্র রেগোলিথ নামে পরিচিত নমুনা সংগ্রহ করেছে। এই নমুনা পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে বিশাল আকারের প্রোটোপ্ল্যানেট পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণে চাঁদের উৎপত্তি হয়েছে। নেচার সাময়িকীতে নতুন এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন চাঁদে কি সত্যিই মানুষের পা পড়েছে২০ জুন ২০২৪

চ্যাং’ই-৬ মহাকাশযানের আগে অ্যাপোলো, লুনা ও চ্যাং’ই-৫ মহাকাশযান চাঁদের প্রোসেলারাম ক্রিপ এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল। সেসব নমুনায় থোরিয়াম পাওয়া গেছে। তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের দূরবর্তী অংশের ম্যান্টেলে সিলিকেটের উপস্থিতি রয়েছে। পাথরের নমুনার বয়স ইঙ্গিত দিচ্ছে, সৌরজগতের গঠন শুরু হওয়ার প্রায় ছয় কোটি বছর পর চাঁদ গঠিত হয়েছে। শুরুতে কোটি কোটি বছর ম্যাগমার অভ্যন্তরে আবৃত ছিল চাঁদ।

নতুন এ গবেষণার বিষয়ে চীনের বিজ্ঞান একাডেমির ভূতত্ত্ব ও ভূপদার্থবিদ্যা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী হু সেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নতুন ফলাফল চাঁদের ওপরে দৈত্যাকার প্রভাব নিয়ে যে অনুমান তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। চাঁদের দূরবর্তী অংশে পানির উপস্থিতি নতুন তথ্য জানাচ্ছে। নাসার আর্টেমিস ও চীনের পরবর্তী চ্যাং’ই মিশনের মতো ভবিষ্যতে নতুন মিশনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা চাঁদে পানির বিস্তার সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ