Prothomalo:
2025-11-03@21:27:50 GMT

চাঁদ কীভাবে তৈরি হয়েছে

Published: 14th, April 2025 GMT

আমাদের চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞানীদের জানার আগ্রহ অনেক দিনের। এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে। সম্প্রতি চীনের চ্যাং’ই-৬ মহাকাশযানের সংগ্রহ করা নমুনা পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর চাঁদ আসলে প্রাচীন কোনো ধ্বংসাবশেষ। চাঁদের দূরবর্তী দক্ষিণ মেরু-এইটকেন ইমপ্যাক্ট বেসিন থেকে মাটির নমুনা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

অনেক বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা চাঁদের উৎপত্তি জানতে গবেষণা করছেন। চীনের চ্যাং’ই–৬ মহাকাশযান চাঁদ থেকে চন্দ্র রেগোলিথ নামে পরিচিত নমুনা সংগ্রহ করেছে। এই নমুনা পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে বিশাল আকারের প্রোটোপ্ল্যানেট পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণে চাঁদের উৎপত্তি হয়েছে। নেচার সাময়িকীতে নতুন এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন চাঁদে কি সত্যিই মানুষের পা পড়েছে২০ জুন ২০২৪

চ্যাং’ই-৬ মহাকাশযানের আগে অ্যাপোলো, লুনা ও চ্যাং’ই-৫ মহাকাশযান চাঁদের প্রোসেলারাম ক্রিপ এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল। সেসব নমুনায় থোরিয়াম পাওয়া গেছে। তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের দূরবর্তী অংশের ম্যান্টেলে সিলিকেটের উপস্থিতি রয়েছে। পাথরের নমুনার বয়স ইঙ্গিত দিচ্ছে, সৌরজগতের গঠন শুরু হওয়ার প্রায় ছয় কোটি বছর পর চাঁদ গঠিত হয়েছে। শুরুতে কোটি কোটি বছর ম্যাগমার অভ্যন্তরে আবৃত ছিল চাঁদ।

নতুন এ গবেষণার বিষয়ে চীনের বিজ্ঞান একাডেমির ভূতত্ত্ব ও ভূপদার্থবিদ্যা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী হু সেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নতুন ফলাফল চাঁদের ওপরে দৈত্যাকার প্রভাব নিয়ে যে অনুমান তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। চাঁদের দূরবর্তী অংশে পানির উপস্থিতি নতুন তথ্য জানাচ্ছে। নাসার আর্টেমিস ও চীনের পরবর্তী চ্যাং’ই মিশনের মতো ভবিষ্যতে নতুন মিশনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা চাঁদে পানির বিস্তার সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ