Prothomalo:
2025-05-01@09:54:55 GMT

চাঁদ কীভাবে তৈরি হয়েছে

Published: 14th, April 2025 GMT

আমাদের চাঁদের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞানীদের জানার আগ্রহ অনেক দিনের। এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব প্রচলিত রয়েছে। সম্প্রতি চীনের চ্যাং’ই-৬ মহাকাশযানের সংগ্রহ করা নমুনা পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর চাঁদ আসলে প্রাচীন কোনো ধ্বংসাবশেষ। চাঁদের দূরবর্তী দক্ষিণ মেরু-এইটকেন ইমপ্যাক্ট বেসিন থেকে মাটির নমুনা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

অনেক বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা চাঁদের উৎপত্তি জানতে গবেষণা করছেন। চীনের চ্যাং’ই–৬ মহাকাশযান চাঁদ থেকে চন্দ্র রেগোলিথ নামে পরিচিত নমুনা সংগ্রহ করেছে। এই নমুনা পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে বিশাল আকারের প্রোটোপ্ল্যানেট পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণে চাঁদের উৎপত্তি হয়েছে। নেচার সাময়িকীতে নতুন এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন চাঁদে কি সত্যিই মানুষের পা পড়েছে২০ জুন ২০২৪

চ্যাং’ই-৬ মহাকাশযানের আগে অ্যাপোলো, লুনা ও চ্যাং’ই-৫ মহাকাশযান চাঁদের প্রোসেলারাম ক্রিপ এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল। সেসব নমুনায় থোরিয়াম পাওয়া গেছে। তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, চাঁদের দূরবর্তী অংশের ম্যান্টেলে সিলিকেটের উপস্থিতি রয়েছে। পাথরের নমুনার বয়স ইঙ্গিত দিচ্ছে, সৌরজগতের গঠন শুরু হওয়ার প্রায় ছয় কোটি বছর পর চাঁদ গঠিত হয়েছে। শুরুতে কোটি কোটি বছর ম্যাগমার অভ্যন্তরে আবৃত ছিল চাঁদ।

নতুন এ গবেষণার বিষয়ে চীনের বিজ্ঞান একাডেমির ভূতত্ত্ব ও ভূপদার্থবিদ্যা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী হু সেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নতুন ফলাফল চাঁদের ওপরে দৈত্যাকার প্রভাব নিয়ে যে অনুমান তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। চাঁদের দূরবর্তী অংশে পানির উপস্থিতি নতুন তথ্য জানাচ্ছে। নাসার আর্টেমিস ও চীনের পরবর্তী চ্যাং’ই মিশনের মতো ভবিষ্যতে নতুন মিশনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা চাঁদে পানির বিস্তার সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা নদীতে টর্নেডো, পানির স্তম্ভ উঠে গেল আকাশের দিকে

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে টর্নেডোর উৎপত্তি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকায় পদ্মা নদীতে পানির স্তম্ভ আকাশের দিকে উঠে যায়। কয়েক মিনিট পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ও ঈশ্বরদী আবহাওয়া কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ফেসবুকের ভিডিও থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা নদীতে হাটখোলা এলাকা থেকে টর্নেডো ভেড়ামারার দিকে অগ্রসর হয়ে যায়। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, পদ্মা নদীর মাঝ থেকে পানির স্তম্ভ আকাশের দিকে উঠে গেছে। অনেকটা ফানেলের আকার ধারণ করেছে। ওই দৃশ্য দেখে কয়েকজন দৌড়ে দূরে সরে যাচ্ছেন। ধীরে ধীরে পানির স্তম্ভ অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।

কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অপারেটর হারুন আর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমিও ফেসবুকে ভিডিওটি দেখেছি। তবে আবহাওয়া অফিসে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।’ একইভাবে ঈশ্বরদী আবহাওয়া কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে টর্নেডোর খবর পাওয়া গেছে। ভিডিওতে দেখেছি। এ ছাড়া কোনো তথ্য নেই।’

আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত কোনো স্থানে নিম্নচাপ বা লঘুচাপ সৃষ্টি হলে ওই স্থানের উষ্ণ বাতাস ওপরের দিকে উঠে যায় এবং তখন ওই শূন্য জায়গা পূরণের জন্য চারদিকের শীতল বাতাস দ্রুত বেগে ধাবিত হয়। এভাবেই টর্নেডোর উৎপত্তি হয়। অল্প সময়ের জন্য তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় গতিপথে যা পড়ে, সবকিছু নিজের ভেতর টেনে নিতে থাকে এবং ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। স্থলে হলে বা পানি ও ভূমি মিলে টর্নেডো তৈরি হলে সেটা অনেক সময় শক্তিশালী হয়ে ওঠে। শুধু পানির ওপরে টর্নেডো তৈরি হলে সেটা ততটা শক্তিশালী হয় না।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই টর্নেডো দেখতে সরু ফানেলের মতো হয়, যার চিকন অংশটি ভূমি স্পর্শ করে। যদিও টর্নেডো বিভিন্ন আকার কিংবা আকৃতির হতে পারে। টর্নেডো পানি টেনে নিয়ে ওপরে তুলে মেঘ তৈরি করে। পরে সেটাই আবার বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে। অনেক সময় আকাশে পানি তুলে সেটা আবার ছেড়ে দেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদ্মা নদীতে টর্নেডো, পানির স্তম্ভ উঠে গেল আকাশের দিকে