বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেন, মানুষের বানানো কোন তন্ত্র- মন্ত্র দিয়ে দেশের মানুষরে ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব না। আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা হলেই দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে বন্দর লালখারবাগ এলাকায় বন্দর থানা উত্তর জামায়াতের ২৭ নং ওয়ার্ডের উদ্যােগে ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

এ সময় তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজার একটি শহর নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে বর্বর জাতী ইসরাইল। শুধু মাত্র  মুসলিম জাতি ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারনে ইসরাইলি পার পেয়ে যাচ্ছে, আপনারা জানলে খুশি হবেন বিশ্বের প্রায় ৬৫ টি দেশ মুসলিম কান্টি যেখানে ২০০ শত কোটির বেশি মুসলিম আছে। 
শুধু মাত্র ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারনে আজ ফিলিস্তিন সহ বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা নিপীড়িত। তাই আসুন আমরা সবাই বর্বর জাতি ইসরাইলির সকল পন্য বর্জন করি। 

বন্দর থানা উত্তর জামায়াতের আমীর মুফতী আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, থানা কর্ম পরিষদের সদস্য মহিউদ্দিন মিয়া, ২৭ নং ওয়ার্ড সভাপতিত্ব জহিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় জামায়াতে নেতৃবৃন্দ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ