বিজয় শঙ্কর ১৫তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার পর জয়ের জন্য ৩০ বলে ৫৬ রান দরকার ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। হাতে ৫ উইকেট। এমন সময় সাতে ব্যাটিংয়ে নামলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। দেখালেন বুড়ো হাড়ের ভেলকি। ১১ বলে করলেন অপরাজিত ২৬। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাইও ম্যাচটা জিতল হেসেখেলে। ৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে চেন্নাই।
আরও পড়ুনপিএসএলে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করে পেলেন চুল শুকানোর মেশিন১ ঘণ্টা আগেজয়ের জন্য শেষ ওভারে ৫ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের। রান তাড়াটা এমন সহজ হয়ে আসার কারণ ষষ্ঠ উইকেটে ধোনি ও দুবের ২৮ বলে অবিচ্ছন্ন ৫৮ রানের জুটি। যেখানে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে নামা দুবের অবদান ১৭ বলে ২৬ আর ৪৩ বছর বয়সী ধোনির অবদান ১১ বলে ২৬! এর মধ্যে ১৭তম ওভারের শেষ বলে শার্দুল ঠাকুরকে এক হাতে মারা ধোনির ছক্কাটি চেন্নাই সমর্থকদের মনে থাকবে বহুদিন। ম্যাচ শেষ করে আসায় কিংবদন্তি হয়ে ওঠা এই ধোনিকে পুরোনো চেহারায় দেখে নিশ্চয়ই খুশি হবেন চেন্নাইয়ের সমর্থকেরা।
জয়ের পর লক্ষ্ণৌর খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন ধোনি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল