মিশর নতুন করে হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আল জাজিরা আরবকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন,  মিশরের কাছ থেকে হামাস একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পেয়েছে। তবে মিশরীয় পক্ষ জোর দিয়ে বলেছে যে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তি সম্ভব না যদি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী অস্ত্র সমর্পণ না করে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'মিশরের প্রস্তাবে আমাদের প্রতিনিধি দল বিস্মিত হয়েছে, তবে তাদের প্রস্তাবে প্রতিরোধ নিরস্ত্রীকরণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত।'

'মিশর অংশ আমাদের জানিয়েছে যে, প্রতিরোধের নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা না করে যুদ্ধ বন্ধে কোনো চুক্তি হবে না।'

এদিকে হামাস তার অবস্থানে অনড়, যেকোনো চুক্তি হওয়া উচিত গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে তাদের প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, 'হামাসের অস্ত্র "আলোচনার বিষয় নয়"।'

তবে ইসরায়েল বারবার জোর দিয়ে বলেছে যে, যুদ্ধ শেষ করতে হলে হামাসকে অবশ্যই পরাজিত হতে হবে, যার মধ্যে অস্ত্র সমর্পনঅন্তর্ভুক্ত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী পলাতক।

আজ রোববার বিকেলে ওই কিশোরীর বাবা শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের একটি কারখানার পাশের এটিএম বুথের ভেতর এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুসার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায়। সে মা–বাবার সঙ্গে শ্রীপুরের একটি গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকে।

কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, তিনি টাকা তোলার জন্য ওই এটিএম বুথে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর মেয়ে একটি স্পিনিং কারখানায় স্বল্প বেতনের চাকরি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে লিটন অন্য কারখানায় ভালো বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আশ্বাস পেয়ে রোববার তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে ওই বুথে যান।

ওই কিশোরীর বাবা আরও বলেন, বুথে যাওয়ার পর লিটন মিয়া তাঁর মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। অন্য একটি কারখানার এক কর্মকর্তা কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসবেন বলে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে লিটন মিয়া ওই কিশোরীকে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন এবং তাঁর বাবাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। কিশোরীর বাবা সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর খবর নিতে এসে দেখেন তাঁর মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বুথের ভেতর থেকে বের হচ্ছে। পরে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে গেলে ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে জানায়।

পলাতক থাকায় এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ আবদুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই নিরাপত্তাকর্মী পলাতক আছেন। তাঁকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ