বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, ৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 15th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় সালিসে না যাওয়ায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ৬০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এর আগে, গত রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নে আবদুল গফুর (৫০) ও তার ছেলে মেহেদী হাসানকে (১৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ওই দিন রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন, পলাশীহাটা গ্রামের মো.
আরো পড়ুন: বাড়িঘরে কয়েকশত লোকের হামলা, বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
আরো পড়ুন:
কচুয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবলীগ নেতাকে হত্যা
বাড়িঘরে কয়েকশত লোকের হামলা, বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, “মেহেদী আমার স্বামীর প্রথম পক্ষের ছেলে। সে একটু বখাটেপনা করত। চার-পাঁচ দিন আগে আবদুল মোতালেবের ফিশারিজ থেকে দুটি তেলাপিয়া মাছ ধরায় ক্ষুব্ধ হয়ে বকাঝকা করে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। এর মধ্যে প্রতিবেশী বিদেশ ফেরত একজনের কিছু কাগজ ও মোবাইল চুরি হওয়ার অপবাদ দেয় মেহেদীকে। এ নিয়ে সালিস বসালে আমার স্বামী ছেলেকে নিয়ে যায়নি। এ কারণে বাড়িতে এসে হামলা করে হত্যা করে।”
ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
প্রকারভেদ
কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—
মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।
শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।
সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।
কেন করা হয়?
এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—
কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।
সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।
কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।
কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
ডিপ্রেশন বা হতাশা
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া
আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
আত্মহত্যার প্রবণতা
শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া
ওজন বেড়ে যাওয়া
হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।
প্রতিরোধের উপায়
ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)