Risingbd:
2025-06-16@19:22:59 GMT

মিরপুরে দুদকের অভিযান

Published: 15th, April 2025 GMT

মিরপুরে দুদকের অভিযান

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিপিএলের টিকিট বিক্রি ও আরো কিছু অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবস্থিত বিসিবির কার্যালয়ে উপস্থিত হন দুদকের তিন সদস্যের একটি বিশেষ দল।

বিসিবি কার্যালয়ে অবস্থান শেষে অভিযানের ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, “বিভিন্ন ক্রিকেট লিগে বিশেষ করে তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফায়িং পর্বে দল নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

আগস্টে বাংলাদেশে আসছে ভারত ক্রিকেট দল

বছরজুড়ে দেশের মাঠে বাজে পারফরম্যান্স, জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা দল 

তার ভাষ্যমতে, ২০২৩ সালে তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল পাঁচ লাখ টাকা। তখন মাত্র দুটি বা তিনটি দল আবেদন করত। এবার ফি এক লাখ টাকা নির্ধারণ করার পর ৬০টি দল আবেদন করেছে। আগের বছরগুলোতে অংশগ্রহণ ঠেকিয়ে রাখার মতো দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

বিপিএলের টিকিট বিক্রির অনিয়মের ব্যাপারে মাহমুদুল আরো বলেন, “বিপিএলের তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করে বিসিবি আয় দেখিয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অথচ এবারের (এগারোতম আসর) টিকিট বিসিবি নিজেরাই বিক্রি করে প্রায় ১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। এতেই বোঝা যায়, আগে কোনোভাবে সঠিক হিসাব প্রকাশ হয়নি।”

অভিযান শেষে দুদকের টিম বিসিবি থেকে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। যাচাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করবে সংস্থাটি।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর নির্বাচনে নতুন চার সম্পাদকীয় পদ যুক্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ডাকসুর সংশোধিত বিধিমালায় নতুন করে চারটি পদ যুক্ত করা হয়েছে। ডাকসুর উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণের পাশাপাশি চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনা প্রতিষ্ঠার কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

বিধিমালার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হিসেবে এবার যে চারটি নতুন সম্পাদকীয় পদ যুক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো, ছাত্র সংসদে–গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক। এ সম্পাদকরা শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মশালা, সেমিনার, সম্মেলন, গবেষণা জার্নাল, চাকরি মেলা, স্বাস্থ্যসচেতনতা কার্যক্রম এবং মানবাধিকারবিষয়ক উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রত্যেক আবাসিক হল বা ক্যাম্পাসের উপযুক্ত স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট হলে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথে ভোট দিতে পারবেন। ফলাফল ঘোষণার পর কেউ আপত্তি জানাতে চাইলে তিন কর্মদিবসের মধ্যে উপাচার্যের কাছে তা দাখিল করতে হবে। তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কমিশন গঠন এবং সংশোধিত বিধিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়। উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সহায়তার জন্য আরও ৯ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা রাখা হয়েছে। 

তারা হলেন– মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মহিউদ্দিন; সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী; তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক; উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম; স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা; ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম (শহীদুল জাহীদ); বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর; গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর। 

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন সমকালকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর বাকিদের নিয়ে সভা করে উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচনের তারিখসহ যাবতীয় বিষয় এগিয়ে নেব। নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে– ক. ছাত্র সংসদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করা। খ. বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের ইতিহাসে সংঘটিত সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনা প্রতিষ্ঠা করা। গ. পাঠ্য ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ উৎকর্ষ অর্জনে সহযোগিতা করা। 

নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী, যারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে বর্তমানে স্নাতক, মাস্টার্স বা এমফিল পর্যায়ে অধ্যয়নরত এবং কোনো আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত, তারাই ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন। সান্ধ্যকালীন, পেশাদার, এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সের শিক্ষার্থীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ