Risingbd:
2025-11-03@21:06:22 GMT

মিরপুরে দুদকের অভিযান

Published: 15th, April 2025 GMT

মিরপুরে দুদকের অভিযান

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিপিএলের টিকিট বিক্রি ও আরো কিছু অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবস্থিত বিসিবির কার্যালয়ে উপস্থিত হন দুদকের তিন সদস্যের একটি বিশেষ দল।

বিসিবি কার্যালয়ে অবস্থান শেষে অভিযানের ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, “বিভিন্ন ক্রিকেট লিগে বিশেষ করে তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফায়িং পর্বে দল নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

আগস্টে বাংলাদেশে আসছে ভারত ক্রিকেট দল

বছরজুড়ে দেশের মাঠে বাজে পারফরম্যান্স, জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা দল 

তার ভাষ্যমতে, ২০২৩ সালে তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল পাঁচ লাখ টাকা। তখন মাত্র দুটি বা তিনটি দল আবেদন করত। এবার ফি এক লাখ টাকা নির্ধারণ করার পর ৬০টি দল আবেদন করেছে। আগের বছরগুলোতে অংশগ্রহণ ঠেকিয়ে রাখার মতো দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

বিপিএলের টিকিট বিক্রির অনিয়মের ব্যাপারে মাহমুদুল আরো বলেন, “বিপিএলের তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করে বিসিবি আয় দেখিয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অথচ এবারের (এগারোতম আসর) টিকিট বিসিবি নিজেরাই বিক্রি করে প্রায় ১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। এতেই বোঝা যায়, আগে কোনোভাবে সঠিক হিসাব প্রকাশ হয়নি।”

অভিযান শেষে দুদকের টিম বিসিবি থেকে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। যাচাই-বাছাই শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করবে সংস্থাটি।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ