মহাসমাবেশের আলোচ্য বিষয় ও ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে ২০ এপ্রিল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ওই দিন সকাল ১০টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সভা হবে।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩ মে মহাসমাবেশ হবে। হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এতে সভাপতিত্ব করবেন। মহাসমাবেশ সামনে রেখে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা আহ্বান করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় সমাবেশের আলোচ্য বিষয়, আমন্ত্রিত অতিথিসহ মহাসমাবেশের ঘোষণা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির পুনর্গঠনের পর ২১ সেপ্টেম্বর সংগঠনের প্রথম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা হয়। ২০ এপ্রিল সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিতীয় সভা হতে যাচ্ছে।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারীর নামে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসায় সংগঠনের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা কেন্দ্রীয় পরিকল্পনাগুলো আরও সংগঠিত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ২০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ বৈঠকে বসবে। সেদিন সভায় কমিটির সব সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।

হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে সভায় সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির মুফতি জসিম উদ্দীন, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরীসহ প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য় কম ট র ব ব নগর ইসল ম র স গঠন র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ