মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির সভা ডেকেছে হেফাজত
Published: 15th, April 2025 GMT
মহাসমাবেশের আলোচ্য বিষয় ও ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে ২০ এপ্রিল সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ওই দিন সকাল ১০টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সভা হবে।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩ মে মহাসমাবেশ হবে। হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এতে সভাপতিত্ব করবেন। মহাসমাবেশ সামনে রেখে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা আহ্বান করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় সমাবেশের আলোচ্য বিষয়, আমন্ত্রিত অতিথিসহ মহাসমাবেশের ঘোষণা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির পুনর্গঠনের পর ২১ সেপ্টেম্বর সংগঠনের প্রথম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা হয়। ২০ এপ্রিল সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিতীয় সভা হতে যাচ্ছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারীর নামে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসায় সংগঠনের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা কেন্দ্রীয় পরিকল্পনাগুলো আরও সংগঠিত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ২০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ বৈঠকে বসবে। সেদিন সভায় কমিটির সব সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে সভায় সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির মুফতি জসিম উদ্দীন, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরীসহ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য় কম ট র ব ব নগর ইসল ম র স গঠন র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।