কামব্যাক করলে আকর্ষণীয় পুরস্কারের ঘোষণা রিয়ালের
Published: 15th, April 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালের মাঠ থেকে ৩-০ গোলে হেরে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেমিফাইনালে যেতে হলে ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে গানারদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৪-০ গোলে জিততে হবে। টাইব্রেকারে যেতে হলে অন্তত ৩-০ গোলের জয় দরকার লস ব্লাঙ্কোসদের।
রিয়াল মাদ্রিদ ওই কামব্যাক সম্পন্ন করতে পারলে খেলোয়াড়রা আকর্ষণীয় পুরস্কার পাবেন। সংবাদ মাধ্যম স্পোর্ত দাবি করেছে, খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিতো পেরেজ রিয়ালের ড্রেসিংরুমে এসেছিলেন। সেখানে তিনি ওই বার্তা দিয়েছেন।
এর আগে রিয়াল মাদ্রিদ নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে শেষ ষোলোয় হারিয়েছে। ওই ম্যাচে রিয়াল প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে জেতে। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে অ্যাথলেটিকোর কাছে ১-০ গোলে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জয় পায় দলটি। ওই জয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে-ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম।
লা লিগায় ১০ জনের দল নিয়ে আলাভেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ম্যাচের পর ক্লাব প্রেসিডেন্ট পেরেজ ড্রেসিংরুমে ঢুকে কিলিয়ান এমবাপ্পের নাম ধরে কথা বলেন। এরপর অন্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোমারা যদি জেতো এবং সেমিফাইনালে যেতে পারো তোমাদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার আছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর স ন ল ক ল য় ন এমব প প প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে বইমেলায় বিক্রি কম, এখনো আশায় আছেন প্রকাশকেরা
রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলার প্রথম তিন দিনে লোকজনের ভিড় থাকলেও বেচাকেনা তেমন হয়নি। এতে অনেক প্রকাশকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে আগামী কয়েক দিনে বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা করছেন প্রকাশকেরা ও আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার রাজশাহী জেলা কালেক্টরেট মাঠে ৯ দিনব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে এবং রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ মেলা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৭০টি বেসরকারি প্রকাশনাসহ মোট ৮১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে মেলা চলছে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়।
উদ্বোধনের আগের দিন বৃষ্টিতে মেলার মাঠ কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। সেই কর্দমাক্ত পরিবেশেই মেলার উদ্বোধন হয়। দর্শনার্থীদের ভোগান্তি কমাতে পরে প্রতিটি স্টলের সামনে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বিক্রির খরা কাটেনি বলে জানালেন বিক্রেতারা।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন অংশে তখনো পানি জমে আছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত মঞ্চের সামনের প্যান্ডেলেও কাদা। সেখানেই কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা চলছিল, তবে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। স্টলের সামনে ইটের সলিংয়ের তৈরি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন অনেকে। অনেকে বই দেখছেন।
সূর্যোদয় প্রকাশনীর বিক্রেতা রিপন আলী বলেন, প্রথম দিন তো কাদাপানির মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তখনো মানুষ ছিলেন। এখন ইট বিছানোর পর আরও বেশি মানুষ আসছেন, ভিড়ও করছেন, কিন্তু বই কিনছেন খুব কম।
ঐতিহ্য প্রকাশনীর স্টলে কাদার ওপর চেয়ার পেতে বসে থাকতে দেখা গেল বিক্রয়কর্মী ও চিত্রশিল্পী অর্ণব পাল সন্তুকে। তিনি বলেন, মানুষ আসছেন, ঘুরে দেখছেন, কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। মেলার ব্যবস্থাপনা আরও ভালো হতে পারত। আরেক বিক্রেতা আবদুল্লাহ হীল বাকি জানালেন, এমনও স্টল আছে, যেখানে সারা দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বইও বিক্রি হচ্ছে না।
তবে হতাশার ভিড়ে আশার কথাও শোনালেন কেউ কেউ। চট্টগ্রাম থেকে আসা নন্দন বইঘর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সুব্রত কান্তি চৌধুরী বলেন, বেচাবিক্রি আজ না হোক কাল হবে। মানুষ যে মেলায় এসে বই হাতে নিয়ে দেখছেন, এটাই বড় পাওয়া। এতে তাঁদের মধ্যে বই কেনার আগ্রহ তৈরি হবে।
মেলায় আসা পাঠকদের মধ্যে অবশ্য ভিন্ন চিত্র। দুই সন্তানের জন্য শিশুতোষ বই কিনে এক অভিভাবক বলেন, বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আনন্দটাই অন্য রকম।
মেলা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপ্যাধ্যায়ের বই কিনেছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, মেলায় একসঙ্গে অনেক বই পাওয়া যায়, যা বই কেনার জন্য দারুণ সুযোগ।