কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশ
Published: 15th, April 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সমাবেশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এই প্রতিবাদী সমাবেশ আয়োজন করে রাবি শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদী সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, “কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতরা যে অমানবিক হামলা চালিয়েছে তারপরও সেখানকার উপাচার্য চুপ করে আছেন। তিনি বহিরাগতদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে। নিজের ক্যাম্পাসের মধ্যে বহিরাগতদের দ্বারা হামলার শিকার হয়েও শিক্ষার্থীদের নামে মামলা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো প্রতিবাদ করেননি। তার মানে তিনি নিজেও অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত।”
আরো পড়ুন:
রাবির পরীক্ষার জন্য শনিবার বন্ধ থাকবে জবি
ফ্যাসিবাদমুক্ত বর্ষবরণে রাবি শিক্ষার্থীদের অনুভূতি
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের পাশে না থেকে তিনি হল বন্ধ করে দিয়েছেন। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে না থেকে বহিরাগতদের সঙ্গে এবং রাজনৈতিক পাওয়ারের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে, যা আমরা ফ্যাসিবাদী আমলে দেখেছি।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কুয়েটের শিক্ষার্থীরা তাদের উপাচার্যর পদত্যাগের দাবিতে যে প্রতিবাদ করেছে, আমরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরি মিশু বলেন, “নতুন বাংলাদেশে ছাত্রদের রক্তের উপর পাড়া দিয়ে যে প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েছে, সেই প্রশাসন'ই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সাধারণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে বহিষ্কার করছে। কুয়েট উপাচার্য যা করেছে, তার সাবধান হওয়ার কিছুই নেই। অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই। যদি সে নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ না করে, তাহলে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে তাকে বহিষ্কার করতে হবে।”
আরেক সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে প্রত্যেকটা ক্যাম্পাসে আধিপত্যবাদের রাজনীতি শুরু হয়েছে। আমাদের নয় দফা দাবির ৯ নাম্বারে উল্লেখ ছিল, ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি ও আধিপত্যবাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু বিপ্লবের ৯ মাস পার হয়ে গেলেও তার কোনো পদক্ষেপ আমাদের চোখে পড়েনি। কুয়েট উপাচার্য যা করেছে তা স্বৈরাচার হাসিনার সঙ্গে সমতুল্য।”
তিনি বলেন, “দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কোনো উপাচার্যকে স্বপদে দেখতে চাই না। অবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই এবং আমরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের এক দফার সঙ্গে সম্পুর্ণভাবে একমত পোষণ করছি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পদত য গ উপ চ র য র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’