Samakal:
2025-11-03@20:16:32 GMT

শিশুটি বেঁচে থাকল ১৫ ঘণ্টা

Published: 15th, April 2025 GMT

শিশুটি বেঁচে থাকল ১৫ ঘণ্টা

নববর্ষের প্রথম দিনে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই হোসেন ও ইয়াসমিন দম্পতির কোলজুড়ে এসেছিল নতুন অতিথি। তখন তাদের পরিবারে ছিল বাধভাঙা উচ্ছ্বাস। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি হোসেন-ইয়াসমিন দম্পতির, রূপ নেয় বিষাদে। সোমবার রাত ৯টায় তারা জানতে পারেন শিশুটি আর নেই।    

এর সোমবার ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হোসেন-ইয়াসমিন দম্পতির তৃতীয় কন্যার জন্ম হয়। শখ করে নামও রেখেছিলেন ইকরাতুল জান্নাত হাসানা। বড় হয়ে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন মেয়েকে। কিন্তু সব স্বপ্ন যেন অধরাই রয়ে গেল তাদের।

শিশুটির চাচী ফাতেমা আক্তার জানান, সোমবার রাত ৯ টায় হাসপাতালের এনআইসিইউতে থাকা অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ডেকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবরে বিলাপ করছেন মা ইয়াসমিন আক্তার। তিনি বলেন, জন্মের পর মেয়েকে একবারের জন্যও কোলে নিতে পারিনি। তাকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল আমার। তাকে ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলাম।

‘বাংলা বছরের প্রথম দিনে জন্ম হওয়াতে আমাদের পরিবারে সুখের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। আল্লাহ তো তার হায়াত দেয় নাই। এজন্য জন্ম আর মৃত্যুর দিন একই রয়ে গেল।’ বলেন তিনি। 

শিশুটির বাবা হোসেন আলী বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল আমাদের। সব স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। বাবা হওয়ার পর কত মানুষকে গর্ব করে বলেছিলাম। এখন এসব শুভেচ্ছা আর গর্ব দিয়ে কি করব আমি। আমার মেয়েটাই আর বাঁচল না।’ 

চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির অবস্থা সংকটাপূর্ণ ছিল। মাত্র ২৯ সপ্তাহে পৃথিবীর আলো দেখে শিশুটি। নির্দিষ্ট বয়সের আগে জন্ম হওয়ায় তাকে এনআইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানে থাকা অবস্থায় রাত ৯টার দিকে মারা যায় শিশুটি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ