নভোএয়ার বন্ধের খবর সঠিক নয়, জানালেন এমডি
Published: 16th, April 2025 GMT
বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ার বন্ধ হচ্ছে এমন খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশেষ কারণে ১৯ এপ্রিলের পর থেকে ফ্লাইটের টিকিট বুকিং বন্ধ রেখেছিলাম। তাতেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জন ওঠে। এখন আবার ফ্লাইট চালু করেছি, টিকিট বুকিং দেওয়া যাচ্ছে।
নভোএয়ারের বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া এসেছে। তবে গতকাল এয়ারলাইন্সটির ওয়েবসাইট থেকে দুপুরের পর থেকে টিকিট বুক করা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছিল নভোএয়ার। এর পর এক যুগ ধরে ১ লাখের বেশি ফ্লাইট চালিয়ে সাড়ে ৭০ লাখের বেশি যাত্রীকে সেবা দিয়েছে তারা।
বর্তমানে ঢাকা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহীতে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করছে নভোএয়ার।
ফেসবুকে একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে– ‘ডমেস্টিক এয়ারলাইন্স নভোএয়ার ১৯ এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের মালিকদের সিদ্ধান্ত। তারা আর ব্যবসা করবেন না। সব প্লেন বিক্রি করে দিচ্ছে। আকাশ পরিবহনে অবশ্যই এটা একটা খারাপ খবর।’
এদিকে নভোএয়ার বন্ধ হচ্ছে– এমন খবর নেই বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষের কাছেও। বেবিচক সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, এয়ারলাইন্স বন্ধ হলে জানতে পারতাম।
এ ব্যাপারে নভোএয়ারের সেলস ডিপার্টমেন্টের হেড মেসবাউল ইসলাম সমকালকে বলেন, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে ১৯ এপ্রিলের পর নভোএয়ারের টিকিট বিক্রি বন্ধ ছিল। কিন্তু সমস্যার সমাধান হওয়ায় ফের টিকিট বিক্রি চালু হয়েছে।
নভোএয়ার ছাড়াও দেশে ইউএস-বাংলা ও এয়ার অ্যাস্ট্রা নামে দুটি বেসরকারি এয়ারলাইন্স রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি