নিষিদ্ধ যে হবেন সেটাই নিশ্চিতই ছিল, কিন্তু কত ম্যাচ নিষিদ্ধ হবেন দেখার ছিল সেটা। বলা যায়, অল্পের ওপর দিয়েই পার পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। লা লিগায় আলাভেসের বিপক্ষে দলটির এক খেলোয়াড়কে মারাত্মক ফাউল করে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।

গত রোববার লিগে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল ও আলাভেস। সেদিন ম্যাচের শুরু থেকেই ফাউলের শিকার হচ্ছিলেন এমবাপ্পে। বারবার আঘাত পেয়েই হয়তো খেপে গিয়েছিলেন এই ফরাসি তারকা।

প্রতিক্রিয়ায় ম্যাচের ৩৮ মিনিটে আলাভেসের আন্তোনিও ব্লাঙ্কোকে মারাত্মকভাবে ফাউল করে বসেন এমবাপ্পে। শুরুতে হলুদ কার্ড দেখালেও পরে ভিএআরে যাচাই করে লাল কার্ড দেখিয়ে তাঁকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন রেফারি।

আরও পড়ুনএমবাপ্পে ক্ষমা চেয়েছেন, ভুল বুঝতে পেরেছেন১৪ এপ্রিল ২০২৫

ম্যাচ শেষে এমবাপ্পের এমন ফাউল নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে অনেক। কেউ কেউ এমবাপ্পের ওপর বড় নিষেধাজ্ঞার খড়গও দেখছিলেন। এই ঘটনায় ম্যাচের পর নিজের আচরণের জন্য এমবাপ্পে ক্ষমাও চান।

আর্সেনাল ম্যাচের আগে অনুশীলনে এমবাপ্পে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ