ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর সাতরাস্তায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ফলে এই রুটে চলাচলকারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে গন্তব্যে যেতে ডাইভারশন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে গুলশান ট্রাফিক বিভাগ।

বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান ট্রাফিক বিভাগের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য জানিয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, তেজগাঁও সাতরাস্তা পয়েন্টে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সড়কে অবস্থান করে ইনকামিং ও আউটগোয়িংয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে উত্তরা-বনানী-মহাখালী রুটে ইনকামিংয়ের যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে মহাখালী থেকে বনানী-উত্তরা রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

পুলিশ জানায়, উত্তরা-বনানী-মহাখালী-তেঁজগাও রুটে যারা যাবেন তাদের আমতলী বামে টার্ন করে গুলশান-১ পুলিশ প্লাজা, শান্তা ডাইভারশন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। এছাড়া যারা গুলশান-১ থেকে আমতলীর দিকে যাবেন তাদেরও একই ডাইভারশন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর ধ ড এমপ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ