ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর সাতরাস্তায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ফলে এই রুটে চলাচলকারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে গন্তব্যে যেতে ডাইভারশন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে গুলশান ট্রাফিক বিভাগ।

বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান ট্রাফিক বিভাগের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য জানিয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, তেজগাঁও সাতরাস্তা পয়েন্টে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সড়কে অবস্থান করে ইনকামিং ও আউটগোয়িংয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে উত্তরা-বনানী-মহাখালী রুটে ইনকামিংয়ের যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে মহাখালী থেকে বনানী-উত্তরা রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

পুলিশ জানায়, উত্তরা-বনানী-মহাখালী-তেঁজগাও রুটে যারা যাবেন তাদের আমতলী বামে টার্ন করে গুলশান-১ পুলিশ প্লাজা, শান্তা ডাইভারশন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। এছাড়া যারা গুলশান-১ থেকে আমতলীর দিকে যাবেন তাদেরও একই ডাইভারশন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর ধ ড এমপ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের ওপর অত্যাচারে মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি বলেছেন, ‘বাঙালিদের ওপর যদি অত্যাচার–অবহেলা করা হয়, আমাদের আপত্তি থাকবে। তবে এটা শুধু বাঙালির প্রশ্ন নয়, গোটা ভারতের বিষয়।’

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন গতকাল বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতনের নিজ বাসভবন প্রতীচীতে ফিরে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এ কথা বলেন।

পশ্চিমবঙ্গজুড়ে যখন বিভিন্ন রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকেরা হেনস্তা হচ্ছেন, তখন সরব হয়ে এ কথা বলেছেন অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, ’হেনস্তার শিকার সে বাঙালি হোন, পাঞ্জাবি হোন, মাড়োয়ারি হোন, আমাদের আপত্তি করার কারণ থাকবে।’

অমর্ত্য সেন বলেন, ‘আমাদের সব মানুষকে সন্মান দেওয়া উচিত। ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার রয়েছে দেশের সর্বত্র শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার। যেটা আমাদের সংবিধানে অধিকার দেওয়া আছে। সংবিধানে আরও বলা আছে, একজন ভারতীয় নাগরিকের গোটা দেশের ওপরই সেই অধিকার আছে। আঞ্চলিক অধিকারের কথা কোথাও বলা নেই।’

বাংলা ভাষার ওপর হেনস্তার অভিযোগের প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘বাংলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাষা। চর্যাপদ দিয়ে যে ভাষার জন্ম হলো, তার মূল্য স্বীকার করতেই হবে। আর এই ভাষার মধ্যে তো নানা কাব্য লেখা হলো। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলামের কথা তো আমাদের সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা আছে। এগুলোর মূল্য দিতেই হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ