বগুড়ায় মোটরসাইকেল হেফাজতে নিতে গিয়ে হামলার শিকার ২ পুলিশ
Published: 16th, April 2025 GMT
বগুড়ায় হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কালিতলা মোড়ে দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল হেফাজতে নিতে গিয়ে তারা হামলার শিকার হন।
আহতরা হলেন- বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক আহম্মদ আলী।
ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আলমাস আলী জানান, মঙ্গলবার রাতে দুই ব্যক্তির মধ্যে মারামারি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা শহরের কালিতলা এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত নাম না জানা এক পুরুষ ও নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান তারা।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মঞ্চ ভাঙচুর, আটক ৬
গাইবান্ধায় জামায়াতের গণসংযোগে আ.
দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল হেফাজতে নিতে গেলে আহতদের বন্ধুরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা লাঠি দিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি সেখান থেকে নিয়ে সটকে পড়ে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈন উদ্দিন বলেন, “আহতরা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।তারা শঙ্কা মুক্ত। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত কর মকর ত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, বাবা-মেয়ে নিহত
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছে। একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দয়ামীর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সবাই একই পরিবারের বলে জানায় পুলিশ।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল পুলিশবাহী বাস, আহত ২০
৪০ বছরেও পাকা হয়নি হাওলাদারপাড়া-বারঘর সড়ক
এতে নিহতরা হলেন প্রাইভেটকার চালক ও ওসমানীনগর পজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩১) ও তার মেয়ে আনিসা (৮)। আহতরা হলেন নিহত হারুনের তিন বোন রাইমা বেগম, মুন্নি বেগম, পান্না বেগম ও ভগ্নিপতি মুকিত মিয়া।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে জানান, নিহতের লাশ ও দুঘটনাকবলিত দুটি গাড়ি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে হবিগঞ্জগামী বাসের সঙ্গে বিপরীতদিক থেকে আসা প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে প্রাইভেটকারের চালক হারুন মিয়া ও তার মেয়ে আনিসা মারা যায়।
সিলেট জেলা বাস-মাইক্রোবাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলী আকবর রাজন বলেন, ‘‘সড়ক দুর্ঘটনায় উমরপুর-খাদিমপুর শ্রমিক সংগঠনের এক সদস্য বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। লাশ বর্তমানে মর্গে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।’’
ঢাকা/নুর/বকুল