মে মাসেই নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং জুন মাসে ডাকসু নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি। 

বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “অনেক প্রতীক্ষার পর আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে একটি টাইমলাইন পেলাম। কিন্তু সেই টাইমলাইনে ডাকসুর সুনির্দিষ্ট তারিখ নেই। আমরা চাই মে মাসেই নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হোক। একইসঙ্গে ডাকসু নির্বাচন জুন মাসে অনুষ্ঠিত হোক।”

আরো পড়ুন:

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবি

পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর রাখার বিষয়টি মানব সভ্যতার সঙ্গে সম্পর্কিত: ঢাবি উপাচার্য

তিনি বলেন, “আমরা অতীতে দেখেছি ডাকসু নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা হয়েছে নানাভাবে। বর্তমানে একটি গোষ্ঠী ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে। লম্বা সংস্কারের আলাপ দিচ্ছে। আমরা চাই ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে মৌলিক সংস্কার করুক। যেসব অপরিহার্য সংস্কার সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করুক।”

ষড়যন্ত্রারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ডাকসুর টাইমলাইন দিতে পেরেছে, তার জন্য সাধুবাদ জানাই। তবে ডাকসুর তারিখ অনুল্লিখিত রয়েছে, যা দুঃখজনক।  আর যারা ডাকসু নির্বাচন বানচাল করতে চায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের মুখোশ খুলে ফেলব। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ বানচাল করার অপচেষ্টার সামনে আপনারা মাথা নত করবেন না।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ