রাজধানীতে ফুটপাত ও রাস্তা থেকে চারশ’ দোকান উচ্ছেদ
Published: 16th, April 2025 GMT
রাজধানীর আগারগাঁও ও উত্তরায় ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে দুটি পৃথক অভিযানে প্রায় পাঁচশ’ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। বুধবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদুল ইসলাম।
অভিযানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের প্রথম গেট সংলগ্ন রাস্তার পশ্চিম দিকে ঢাকা-আরিচা সড়ক পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশের রাস্তা ও ফুটপাতের প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এর ফলে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে। অভিযানে উচ্ছেদ করা দোকানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন খাবারের হোটেল, অবৈধ টং দোকান এবং হকারদের বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান।
এছাড়া রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাদেকুর রহমান এবং ডিএনসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম। অভিযানে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর সুইস গেট থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত রানাভোলা সড়কের কাঁচা অংশ অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্রায় দুই শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের ফলে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে। অভিযানে উচ্ছেদ করা দোকানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন খাবারের হোটেল, অবৈধ টং দোকান, বাঁশের আড়ত, নার্সারি, হকারদের বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নগরবাসীর সঙ্গে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন পহেলা বৈশাখের পর ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে ডিএনসিসি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে। রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে এই অভিযান চলবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড এনস স ড এনস স র দখলম ক ত ও ফ টপ ত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’