নাসার ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী কর্মকর্তা বরখাস্ত
Published: 16th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ডাইভার্সিটি, ইকুইটি এবং ইনক্লুশন (ডিইআই) বিভাগের প্রধান নীলা রাজেন্দ্রকে বরখাস্ত করেছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নারী কর্মকর্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা এক নির্বাহী আদেশের আওতায় চাকরি হারিয়েছেন। ওই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ডিইআই কর্মসূচি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং এসব প্রকল্পে নিযুক্তদের বরখাস্তও করতে বলা হয়েছিল।
মঙ্গলবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হওয়ায় নাসা প্রথমে নীলা রাজেন্দ্রকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তাঁর পদবি বদলে ‘হেড অব অফিস অব টিম এক্সেলেন্স অ্যান্ড এমপ্লয়ি সাকসেস’ করে দেওয়া হয়, যদিও তার মূল দায়িত্ব পরিবর্তন হয়নি। মূলত নতুন নামে একটি বিভাগ পর্যন্ত তৈরি করা হয় তাঁর জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক চাপের মুখে এই পদক্ষেপ টিকিয়ে রাখা যায়নি।
গত সপ্তাহে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) পক্ষ থেকে কর্মীদের এক ই-মেইলে জানানো হয়, নীলা রাজেন্দ্র আর জেপিএলে কর্মরত নন। তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠানে যে স্থায়ী প্রভাব রেখে গেছেন, তার জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁর ভবিষ্যতের জন্য আমরা শুভকামনা জানাই।
এই ই-মেইলটি পাঠান জেপিএল পরিচালক লরি লেশিন, যা ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্মীদের কাছে প্রেরণ করা হয়।
গত বছর অর্থ সংকটের কারণে যখন নাসা প্রায় ৯০০ ডিইআই সংশ্লিষ্ট কর্মীর চাকরি বাতিল করে, তখন নীলা রাজেন্দ্র ছিলেন হাতেগোনা কয়েকজনের মধ্যে একজন, যারা চাকরি হারাননি। এর পর ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের মার্চে নাসা তাদের ডাইভার্সিটি বিভাগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। তখনও রাজেন্দ্র চাকরিতে বহাল ছিলেন নাম পরিবর্তনের কারণে।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজেন্দ্র তাঁর লিংকডইন প্রোফাইলে লিখেছিলেন, এই অফিসের নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের সম্মিলিত সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার সক্ষমতা উন্মোচন করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। এপ্রিলের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া হস্তক্ষেপের পর অবশেষে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র বরখ স ত
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক