যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ডাইভার্সিটি, ইকুইটি এবং ইনক্লুশন (ডিইআই) বিভাগের প্রধান নীলা রাজেন্দ্রকে বরখাস্ত করেছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নারী কর্মকর্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা এক নির্বাহী আদেশের আওতায় চাকরি হারিয়েছেন। ওই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ডিইআই কর্মসূচি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এবং এসব প্রকল্পে নিযুক্তদের বরখাস্তও করতে বলা হয়েছিল। 

মঙ্গলবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হওয়ায় নাসা প্রথমে নীলা রাজেন্দ্রকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তাঁর পদবি বদলে ‘হেড অব অফিস অব টিম এক্সেলেন্স অ্যান্ড এমপ্লয়ি সাকসেস’ করে দেওয়া হয়, যদিও তার মূল দায়িত্ব পরিবর্তন হয়নি। মূলত নতুন নামে একটি বিভাগ পর্যন্ত তৈরি করা হয় তাঁর জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক চাপের মুখে এই পদক্ষেপ টিকিয়ে রাখা যায়নি।

গত সপ্তাহে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) পক্ষ থেকে কর্মীদের এক ই-মেইলে জানানো হয়, নীলা রাজেন্দ্র আর জেপিএলে কর্মরত নন। তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠানে যে স্থায়ী প্রভাব রেখে গেছেন, তার জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁর ভবিষ্যতের জন্য আমরা শুভকামনা জানাই।
এই ই-মেইলটি পাঠান জেপিএল পরিচালক লরি লেশিন, যা ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী কর্মীদের কাছে প্রেরণ করা হয়।

গত বছর অর্থ সংকটের কারণে যখন নাসা প্রায় ৯০০ ডিইআই সংশ্লিষ্ট কর্মীর চাকরি বাতিল করে, তখন নীলা রাজেন্দ্র ছিলেন হাতেগোনা কয়েকজনের মধ্যে একজন, যারা চাকরি হারাননি। এর পর ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের মার্চে নাসা তাদের ডাইভার্সিটি বিভাগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। তখনও রাজেন্দ্র চাকরিতে বহাল ছিলেন নাম পরিবর্তনের কারণে।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজেন্দ্র তাঁর লিংকডইন প্রোফাইলে লিখেছিলেন, এই অফিসের নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের সম্মিলিত সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার সক্ষমতা উন্মোচন করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। এপ্রিলের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া হস্তক্ষেপের পর অবশেষে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 

আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়াকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরো পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ইবির ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

সোমবার (৩ নভেম্বর) নোবিপ্রবির রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তামজীদ হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের  রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

নোটিশে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত বিদেশে গমন করেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ২(চ) অনুযায়ী ‘পলায়ন’ ।

এছাড়া একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করায় ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ,২০০১’ এর ধারা ৪৭(৫) এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। 

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, গত ২৮ মে  আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে সেটির জবাব যথাযথ হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আপনাকে পুনরায় ৭ জুলাই বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামত এবং ৩১ জুলাই প্রেরিত নোটিশের জবাব না দেয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭ তম সভার আলোচ্যসূচি-১৮ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ৪৭(৮) ধারা অনুযায়ী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও (গ) অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী পরিচালক (সামরিক বরখাস্ত) পদ থেকে চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো লেনদেন থাকলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে থাকেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ