সান সিরোয় রোমাঞ্চকর ড্রয়ে ইন্টারের হাসি, বায়ার্নের বেদনা
Published: 17th, April 2025 GMT
ইন্টার মিলান ২ (৪)–(৩) ২ বায়ার্ন মিউনিখ
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ২–১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল ইন্টার মিলান। নিজেদের মাঠ সান সিরোতে ইন্টারকে আজ তাই ড্র করলেই চলত।
ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ড্র–ই হয়েছে। প্রথমার্ধ গোল বন্ধ্যাত্বে কাটলেও দ্বিতীয়ার্ধ ছিল রোমাঞ্চে ঠাসা। ২–২ সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচের গোল চারটি হয়েছে বিরতির পর ২৪ মিনিটের ব্যবধানে। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪–৩ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার। জার্মানির সফলতম ক্লাব বায়ার্নকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বিদায়ের বেদনা নিয়ে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে স্প্যানিশ পরাশক্তি বার্সেলোনাকে।
বিস্তারিত আসছে.
..
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫