ফের ইনজুরিতে নেইমার, কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন
Published: 17th, April 2025 GMT
চোট যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না নেইমারের। দীর্ঘদিনের চোট-ভাগ্য এবার আবারও যেন ফিরে এলো। অ্যাটলেটিকো মিনেইরোর বিপক্ষে সান্তোসের হয়ে মাঠে নেমে খেলার মাত্র ৩০ মিনিটের মাথায় হ্যামস্ট্রিং চোটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ব্রাজিলিয়ান তারকা। মাঠ ছাড়ার সময় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটে তাকে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। তখন তার দল সান্তোস ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বাঁ ঊরুতে হ্যামস্ট্রিংয়ের পুরনো চোটই আবার ভোগাচ্ছে তাকে।
চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর এদিন প্রথম একাদশে ফিরেছিলেন নেইমার। তার জন্য এই ম্যাচটি ছিল আরও বিশেষ, ভিলা বেলমিরোতে সান্তোসের জার্সিতে এটি ছিল তার শততম ম্যাচ। মাঠে নামেন ‘১০০’ লেখা বিশেষ জার্সি পরে। তবে সেই রূপকথার প্রত্যাবর্তন মাত্র ৩০ মিনিটেই রূপ নেয় হতাশায়।
গত মার্চেও একই কারণে জাতীয় দল এবং সান্তোসের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে খেলতে পারেননি নেইমার। তার আগেও ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে গুরুতর হাঁটুর চোটে পড়েন তিনি। এরপর সৌদি ক্লাব আল হিলালের হয়ে খেলেন কিছু ম্যাচ, কিন্তু নভেম্বরেই ফের ছিটকে পড়েন মাঠের বাইরে। চোটের কারণে গত ১৮ মাসে আল হিলালের হয়ে খেলতে পেরেছেন মাত্র ৭টি ম্যাচ।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে নিজের পুরনো ক্লাব সান্তোসে ফেরেন নেইমার। তবে ক্লাব বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি। চোট যেন এখন তার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ। তবে সান্তোস ক্লাব নেইমারের পাশে রয়েছে। ক্লাবটির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, 'প্রিন্স! পুরো সান্তোস তোমার সঙ্গেই আছে।'
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি
দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা যে কতটা গৌরবের আর আনন্দের, সেটা একজন বিশ্বকাপ জয়ের-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ের চেয়ে আর কে ভালো বোঝাতে পারবেন?
আর এমন ভাবনা থেকেই এবার গানারো গাত্তুসোকে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করা নিয়ে শঙ্কায় আছে। এর আগে খেলতে পারেনি ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে। টানা তৃতীয় আসর যাতে দর্শক হয়ে না থাকতে হয়, সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী গাত্তুসোকে দায়িত্ব দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এফআইজিসি।
২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে ইতালি খেলছে ‘আই’ গ্রুপে। পাঁচ দলের গ্রুপ থেকে শুধু শীর্ষ স্থানধারী দলই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে পারবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। এই মুহূর্তে ‘আই’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েল। ইতালির অবস্থান তিনে, ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে নরওয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পরই এফআইজিসি কোচ লুসিয়া স্পালেত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিদায় নিশ্চিতের পরও সোমবার মল দোবার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ান স্পালেত্তি, ম্যাচটি ইতালি ২-০ ব্যবধানে জেতে।
নরওয়ে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতায় ইতালি এখন চাপে আছে। হাতে এখনো ৬টি ম্যাচ বাকি। তবে শীর্ষস্থানে থাকতে হলে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হবে, নরওয়েকেও পয়েন্ট হারাতে হবে। আর এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ইতালি দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন গাত্তুসো।
৪৭ বছর বয়সী গাত্তুসো ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইতালির জাতীয় দলে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন। সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন, পরে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অলস্টার একাদশেও। ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব সিওনে খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে গত ১২ বছরে মোট ৯টি ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন গাত্তুসো। যার মধ্যে আছে নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলান এবং ভ্যালেন্সিয়া ও মার্শেই। সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব হাইদুক স্প্লিটের দায়িত্বে ছিলেন, যা গত মাসে পারস্পরিক সমঝোতায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে মোট ৩৭৬টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গাত্তুসোর জয়ের হার ৪২.৮২ শতাংশ। জিতেছেন ১৬১টিতে, ড্র ১০৮ আর হার ১০৭-এ।
এখন দেখার বিষয়, ইতালি দলে তার সাফল্যের হার কতটা হয়, বিশেষ করে যখন দলের দরকার শতভাগ জয়। ইতালি জাতীয় দল তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ৫ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে।