আর্সেনাল কেন পেনাল্টি পেল, রিয়ালের পেনাল্টি কেন বাতিল হলো
Published: 17th, April 2025 GMT
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলের জয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ইংলিশ ক্লাবটি। ফিরতি লেগে ১৩ মিনিটে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) হস্তক্ষেপে পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। দলটির ফরোয়ার্ড বুকায়ো সাকা পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি। ২৩ মিনিটে ফরাসি রেফারি ফ্রাঁসোয়া লেতেক্সিয়ের বাঁশি বাজান পেনাল্টির, সেটা রিয়ালের পক্ষে। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) দীর্ঘ সময় পর্যালোচনার পর পেনাল্টিটি বাতিল করে দেয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর্সেনালের পেনাল্টি পাওয়া এবং রিয়ালের পেনাল্টি বাতিল হওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। ইএসপিএন অফিশিয়ালদের এ দুটি সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছে। আসুন জেনে নিই।আর্সেনালের পেনাল্টি
যা ঘটেছিল: ম্যাচের ৯ মিনিটে কর্নার পেয়েছিল আর্সেনাল। ডেকলান রাইসের নেওয়া কর্নার রুখে দেন রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। কিন্তু ততক্ষণে রিয়ালের বক্সে তাদের ডিফেন্ডার রাউল আসেনসিওর চ্যালেঞ্জে টিকতে না পেরে মাঠেই পড়ে যান আর্সেনালের মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনো। রেফারি লেতেক্সিয়ের খেলা চালিয়ে নিলেও কিছুক্ষণ পর হস্তক্ষেপ করে ভিএআর প্রযুক্তি। মাঠের রেফারিকে যেতে বলা হয় টাচলাইনের বাইরে রাখা ভিএআর মনিটরে। ভিএআর রেফারির দায়িত্বে থাকা জেরোমে ব্রিসার্দ লেতেক্সিয়েরকে মনিটরে সম্ভাব্য পেনাল্টি যাচাই করে দেখতে বলেন।
ভিএআরের সিদ্ধান্ত: পেনাল্টি। সাকার শট রুখে দেন রিয়াল গোলকিপার কোর্তোয়া।
সাকার পেনাল্টি রুখে দেন রিয়াল গোলকিপার কোর্তোয়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’