চট্টগ্রাম নগরে ঝটিকা মিছিল করেছে যুবলীগ। একটি ব্যানার নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আট থেকে দশজন এই মিছিল বের করেন। চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট মোড় এলাকায় এই মিছিল করেন তাঁরা। ঝটিকা মিছিলের একটি ভিডিও আজ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মিছিলের স্থায়িত্ব ছিল ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিছিলে থাকা তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মিছিলের ব্যানারে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগর যুবলীগ ‘নেতা’ মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে এই মিছিল বের করা হয়। মিছিলের সামনে পাঞ্জাবি পরা এক তরুণকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। তবে তিনি মোহাম্মদ হানিফ কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বয়সে তরুণ। তাঁরা মিছিলে ‘শেখ হাসিনা বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’, ‘রাজপথ ছাড়ি নাই, শেখ হাসিনার ভয় নাই’—স্লোগান দেন।

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, সকাল ৭টার দিকে কিছু ব্যক্তি মিছিল বের করেছেন। তাঁদের মধ্যে দিদার, আরিফসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে মিছিলে নেতৃত্বে দেওয়া মোহাম্মদ হানিফকে এখনো পর্যন্ত আটক করা যায়নি। হানিফসহ মিছিল থাকা সবাইকে আজকের মধ্যে আটক করার চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

প্রকারভেদ

কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—

মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।

শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।

সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।

কেন করা হয়?

এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—

কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।

সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।

কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।

কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।

মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

ডিপ্রেশন বা হতাশা

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা

ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া

আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া

আত্মহত্যার প্রবণতা

শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া

ওজন বেড়ে যাওয়া

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া

মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।

প্রতিরোধের উপায়

ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।

প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব