স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের। তাকে এবার ডিভোর্স দেবেন বলে জানালেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। 

হিরো আলমের অভিযোগ, জীবনের শেষ সময়ে পালক বাবার পাশে ছিলেন না রিয়া মনি। সেজন্য বুধবার ফেসবুকে রিয়া মনিকে বয়কটের ঘোষণাও দেন তিনি। এবার সংবাদ সম্মেলনে বললেন, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা।

আজ বৃহস্পতিবার বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হিরো আলম। সেখানে তিনি বলেন, ‘এর আগে অনেকবার মাফ করেছি রিয়া মনিকে। আপনারা সবাই জানেন আমি তাকে বয়কট করেছি। বয়কট মানে তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখব না। আমি ঢাকা যাওয়ার পর তার সঙ্গে সেপারেট (আলাদা) হয়ে যাব। যে বক্তব্যগুলো রিয়া মনি আমার বিরুদ্ধে দিচ্ছে, সেগুলো প্রমাণসহ দিতে হবে।’ এ সময় কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে হিরো আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। 

মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুর রাজ্জাক। তিনি হিরো আলমের পালক বাবা। শৈশবে হিরো আলমের অভিভাবকত্ব নেন তিনি। তাঁর প্রকৃত বাবা ২০১৭ সালে মারা যান। পালিত বাবার মরদেহ নিয়ে বুধবার বগুড়ায় বাড়িতে দাফন করেন তিনি।

‘বাবা’র মৃত্যুর খবর জানিয়ে হিরো আলম ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘রিয়া মনিকে আমার জীবন থেকে বয়কট করলাম। কারণ আমার বাবা হসপিটালে। তার পরিবারের কোনো সদস্য আমার বাবাকে এতদিন হসপিটালে দেখতে আসেনি। আমার বাবা বেঁচে থাকতে দেখতে আসলো না?’

এদিকে হিরো আলমের ফেসবুক পোস্টের কথা শুনেছেন দাবি করে রিয়া মনি পাল্টা জবাব দিয়েছেন, ‘মানসিকভাবে ঠিক নেই উনি (হিরো আলম), যেহেতু উনার বাবা মারা গেছেন। সত্য কথা বলতে কী এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।’

একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়া মনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দেন। পরে হিরো আলম রিয়া মনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু কাজও করছেন হিরো আলম।

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম প্রথম সাবিহা আক্তার সুমির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। এরপর ঢাকায় গিয়ে মডেল নুসরাত জাহান নামে একজনকে বিয়ে করেন। সবশেষে রিয়া মনিকে বিয়ে করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ র আলম আম র ব আলম র

এছাড়াও পড়ুন:

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিওটি এশিয়া কাপের নয়

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাসছে। স্টেডিয়ামে বিশেষ অতিথিদের গ্যালারিতে পাশাপাশি বসে বর্তমান আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ এবং পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। বেশ হাসিমুখে কথা বলছেন দুজন। জয় শাহর পাশেই বসে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। মাঝে একটি আসন দূরে বসে বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সংসদ সদস্য অনুরাগ ঠাকুর। তিনিও জয় শাহ ও আফ্রিদির সঙ্গে বেশ হাসিমুখে কথা বলছিলেন।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ এশিয়া কাপে কয়েকবারের ‘চ্যাম্পিয়ন’, ভেবেছিলেন আফগানিস্তান কোচ১০ ঘণ্টা আগে

দুবাইয়ে গত পরশু ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই দাবি করেন, এই ভিডিও চলমান এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের। সমালোচনা করে অনেকেই বলেন, ভারতে যেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বয়কটের দাবি উঠেছে, সেখানে তাঁদের মধ্যে এত হৃদ্যতা আসে কোত্থেকে? একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর জনতার ক্ষোভের মধ্যেই এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে জয় শাহ ও অনুরাগ ঠাকুরকে শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। গোটা দেশ যখন ম্যাচটি বয়কটের ডাক দিয়েছে, তখন বিজেপির নেতা অনুরাগ ঠাকুর ও জয় শাহ শহীদ আফ্রিদি ও মহসিন নাকভির সঙ্গে মজা করছেন ও সময়টা উপভোগ করছেন।’

ভিডিওটির সত্যতা পরীক্ষা করে ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিও গত পরশু ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের নয়। এটি গত ২৩ ফেব্রুয়ারির ভিডিও। তখন দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচের এই ভিডিও নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই এটাকে গত পরশুর ম্যাচের ভেবে ভুল করেছেন। ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গত ২২ এপ্রিল। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিও পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার আগে।

আরও পড়ুনকেন পাকিস্তানের এমন হার—ব্যাখ্যা দিলেন আকরাম, আফ্রিদি ও গাভাস্কার১০ ঘণ্টা আগে

ভিডিওটি আরেকটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় মাঠের হোর্ডিংয়ে ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫’ লেখা। পাশাপাশি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক ‘এক্স’ ব্যবহারকারী একই ভিডিও শেয়ার দিয়ে ক্যাপশনে লেখেন, ‘দুবাই স্টেডিয়ামে শহীদ আফ্রিদি ও জয় শাহ একসঙ্গে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ দেখছেন।’ ক্যাপশনের নিচে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ভারত–পাকিস্তান ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি লেখা। গত ফেব্রুয়ারি–মার্চে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচিতেও দেখা যাচ্ছে, দুবাইয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। ম্যাচে ৬ উইকেটে জেতে ভারত।

এশিয়া কাপে গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয় পায় ভারত। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচ বয়কটের দাবি তুলেছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররাই। দেশটির সাবেক অফ স্পিনার হরভজন সিং ও সাবেক ক্রিকেটার কেদার যাদবরা এই ম্যাচ বয়কটের আহ্বান জানান। কিছুদিন আগে শেষ হওয়া ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস (ডব্লুসিএল) টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। এর পর থেকে এশিয়া কাপের ম্যাচটি বয়কটের ক্যাম্পেইন আরও বেশি করে শুরু হয় ভারতে। এমনকি ম্যাচটি বাতিলে পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (পিআইএল) আবেদন করা হয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। যদিও জরুরি ভিত্তিতে তা শুনানির জন্য রাজি হননি আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এবার সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে পাকিস্তানের প্রতিবাদ
  • আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিওটি এশিয়া কাপের নয়