স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাকের ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
Published: 17th, April 2025 GMT
স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের। তাকে এবার ডিভোর্স দেবেন বলে জানালেন তিনি। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
হিরো আলমের অভিযোগ, জীবনের শেষ সময়ে পালক বাবার পাশে ছিলেন না রিয়া মনি। সেজন্য বুধবার ফেসবুকে রিয়া মনিকে বয়কটের ঘোষণাও দেন তিনি। এবার সংবাদ সম্মেলনে বললেন, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা।
আজ বৃহস্পতিবার বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হিরো আলম। সেখানে তিনি বলেন, ‘এর আগে অনেকবার মাফ করেছি রিয়া মনিকে। আপনারা সবাই জানেন আমি তাকে বয়কট করেছি। বয়কট মানে তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখব না। আমি ঢাকা যাওয়ার পর তার সঙ্গে সেপারেট (আলাদা) হয়ে যাব। যে বক্তব্যগুলো রিয়া মনি আমার বিরুদ্ধে দিচ্ছে, সেগুলো প্রমাণসহ দিতে হবে।’ এ সময় কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে হিরো আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুর রাজ্জাক। তিনি হিরো আলমের পালক বাবা। শৈশবে হিরো আলমের অভিভাবকত্ব নেন তিনি। তাঁর প্রকৃত বাবা ২০১৭ সালে মারা যান। পালিত বাবার মরদেহ নিয়ে বুধবার বগুড়ায় বাড়িতে দাফন করেন তিনি।
‘বাবা’র মৃত্যুর খবর জানিয়ে হিরো আলম ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘রিয়া মনিকে আমার জীবন থেকে বয়কট করলাম। কারণ আমার বাবা হসপিটালে। তার পরিবারের কোনো সদস্য আমার বাবাকে এতদিন হসপিটালে দেখতে আসেনি। আমার বাবা বেঁচে থাকতে দেখতে আসলো না?’
এদিকে হিরো আলমের ফেসবুক পোস্টের কথা শুনেছেন দাবি করে রিয়া মনি পাল্টা জবাব দিয়েছেন, ‘মানসিকভাবে ঠিক নেই উনি (হিরো আলম), যেহেতু উনার বাবা মারা গেছেন। সত্য কথা বলতে কী এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।’
একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে রিয়া মনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দেন। পরে হিরো আলম রিয়া মনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু কাজও করছেন হিরো আলম।
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম প্রথম সাবিহা আক্তার সুমির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। এরপর ঢাকায় গিয়ে মডেল নুসরাত জাহান নামে একজনকে বিয়ে করেন। সবশেষে রিয়া মনিকে বিয়ে করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ র আলম আম র ব আলম র
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫