ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে তিনি ক্রেমলিনকে আমেরিকার সাথে পারমাণবিক আলোচনা সম্পর্কে অবহিত করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ইরানকে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তেহরান যদি ওয়াশিংটনের সাথে বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে না আসে তবে ইরানের তেল কিনবে এমন তৃতীয় দেশগুলোর উপর শুল্ক আরোপ করা হবে।

গত রবিবার ওমানে ট্রাম্প প্রশাসন এবং ইরানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনাকে উভয় পক্ষই ইতিবাচক ও গঠনমূলক বলে বর্ণনা করেছে। চলতি সপ্তাহান্তে রোমে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু হবে। তবে এর আগেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।

তেহরানের দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন সদস্য। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে রাশিয়া পশ্চিমাদের সাথে ইরানের পারমাণবিক আলোচনায় ভূমিকা পালন করেছিল।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিকে আরাকচি বলেছেন, “পারমাণবিক ইস্যুতে আমরা সবসময় আমাদের বন্ধু চীন ও রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ করেছি। এখন রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সাথে এটি করার একটি ভাল সুযোগ।”

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি পুতিনের কাছে সর্বোচ্চ নেতার একটি চিঠি পৌঁছে দিচ্ছেন যেখানে আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে। 
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ