মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কালবৈশাখীতে উড়ে গেছে প্রত্যন্ত চরবলাকি উচ্চ বিদ্যালয়ের টিনের চালা। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের মেঘনা নদীবেষ্টিত চরবলাকিতে ঝড়ে বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে গতকাল বৃহস্পতিবার ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে এলেও ক্লাস না হওয়ায় বাড়ি ফিরে যায়।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। আর শিক্ষক আছেন ৯ জন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.

হারুন অর রশিদ বলেন, নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলের এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিদের অনুদানে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়। বুধবার সন্ধ্যায় ঝড়ে বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। 
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আল আমিনের ভাষ্য, ‘স্কুলের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় আমাদের ক্লাস বন্ধ। দ্রুত মেরামত করলে আমরা আবার ক্লাস করতে পারব।’ দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তারের কথায়, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই চাল আর বেড়া দিয়ে পানি পড়ে। এর মধ্যে চালা উড়ে গেছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, বিদ্যালয়ের একাধিক ক্লাসরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউএনওর সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব দ য লয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ