ট্রমায় ভুগছে শিল্পী মানবেন্দ্রর পরিবার
Published: 18th, April 2025 GMT
অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ট্রমায় ভুগছে শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের পরিবার। পহেলা বৈশাখে মোটিফ তৈরিতে যুক্ত ছিলেন তিনি। ফেসবুকে অপপ্রচারের পর তাঁর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। সেই মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা অর্থবিষয়ক সম্পাদক আল আমিন ওরফে তমাল (২২), সদর উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দিন আহাম্মদ পিয়াস (২২), ছাত্রলীগ কর্মী মীর মারুফ (২০), ছাত্রলীগ কর্মী আমিনুর রহমান (২৪), ছাত্রলীগ কর্মী মীর মোহাম্মদ রাফি ওরফে সিজন (১৮), গড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন (৫৪), শিবালয় উপজেলার শিবালয় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন (৪৮) ও যুবলীগ কর্মী সঞ্জীব ঘোষ (৪০)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মানবেন্দ্রর বাড়ি পরিদর্শন করেন পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড.
মোস্তাফিজুর বলেন, শিল্পীর পরিবারের নিরাপত্তা জোরদার এবং জড়িতদের কীভাবে আইনের আওতায় আনা যায়, সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ইয়াসমিন বলেন, শিগগির বের করে ফেলব, কারা কীভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
শিল্পী মানবেন্দ্র বলেন, ‘আমার ওপরে যে এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে, তা বিশ্বাস করতে পারছি না। পরিবার ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, এটা অনেক বড়। সবাই ভয়ে রয়েছে। এটা আমার শিল্পসত্তার ওপর আঘাত। জানি না ভবিষ্যতে আমি শিল্পচর্চা করতে পারব কিনা। আমি চাই কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে মেয়ে শুমোনা হাসানের গান
ভালোবাসা, স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে এক আবেগঘন পরিবেশে পটুয়া কামরুল হাসানের কন্যা শুমোনা হাসান তার বাবাকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী গান প্রকাশ করেছেন।
বাবা দিবস উপলক্ষে আজ দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে ‘কত দূর বাবা তোমার বাড়ি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুমোনার পরিবার, ঘনিষ্ঠজন, এবং সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মীরা।
গানটি শুমোনার নিজস্ব রচনা, সুর এবং কণ্ঠে পরিবেশিত। এতে ফুটে উঠেছে একজন কন্যার তার বাবার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো, তাদের ভালবাসা, সংগ্রাম এবং অনন্য সম্পর্কের গল্প। গানের প্রতিটি কথা ও সুর যেন এক আবেগের যাত্রাপথ।
অনুষ্ঠানে শুমোনা বলেন, ‘এই মুহূর্তটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এক বিজয়ী এবং আবেগময় সময়। বাবার আত্মা সবসময় আমাকে পথ দেখিয়েছে। এই গানটি তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার ছোট্ট বহিঃপ্রকাশ।’
শুমোনা জানান, ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রেখে তাঁর বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে চান সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে।