চকরিয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
Published: 18th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলায় বানিয়াছড়া ময়লাডিপো এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অটোরিকশাচালক শহীদুল ইসলাম সোহেল (২৭) ও একই এলাকার মোহাম্মদ নুরু উল্লাহ (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজারমুখী একটি যাত্রীবাহী বাস চট্টগ্রামগামী একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় মিলেছে
সিরাজগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ২
চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, ‘‘আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত দুজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।’’
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’