যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল হওয়া অর্ধেকই ভারতীয় শিক্ষার্থী
Published: 18th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে ৩২৭ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এসব শিক্ষার্থীকে ‘রাষ্ট্রদোহী’ তকমা দিয়েছে মার্কিন সরকার। ফলে তারা আর কখনও যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না। বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫০ শতাংশই ভারতীয় নাগরিক বলে জানিয়েছেন কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশ। বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্বেগ জানিয়েছেন। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
‘আমেরিকান ইমিগ্রেশন লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে জয়রাম রমেশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ভিসা বাতিলের কারণ পরিষ্কার নয়। পদ্ধতিটাও অস্বচ্ছ। এটি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য ভীষণ উদ্বেগের। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই ঘটনায় ভারত সরকারের অবস্থান কী? চুপচাপ বসে থাকার সময় এটা নয়।
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের এই ভিসা বাতিলের পেছনে মূলত সাম্প্রতিক কিছু রাজনৈতিক আন্দোলনকে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। বিশেষ করে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে এবং প্যালেস্টাইনের পক্ষে সরব হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ক্যাম্পাসে ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাই তাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে আমেরিকান ইমিগ্রেশন লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’