অবশেষে জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেলো বিসিবি
Published: 18th, April 2025 GMT
এই মুহুর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কোনো সম্প্রচারকারী চ্যানেলের সঙ্গে কোন চুক্তি নেই। তাই জিম্বাবুয়ে সিরিজ সম্প্রচার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল।  
অবশেষে দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ দেখানোর জন্য সম্প্রচারকারী চ্যানেল পেয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেখানো হবে দুই ম্যাচেই এই সিরিজি।
রাইজিংবিডিকে বিসিবির মিডিয়া বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মিডিয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়, “এবার সিরিজ বিটিভিতে দেখানো হবে। এখন কারো সাথে বোর্ডের কোনো চুক্তি নেই। বিটিভির সঙ্গে চুক্তিও বাণিজ্যিক না।”
আরো পড়ুন:
সিলেট ও চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পরিবর্তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ পর্যন্ত সম্প্রচার চুক্তি ছিল বোর্ডের। সেই চুক্তি মোতাবেক টি-স্পোর্টস ও জিটিভিতে দেখা যেতো খেলা। এবার তারা আগ্রহ দেখায়নি।
২০ এপ্রিল থেকে সিলেটে শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। চট্টগ্রামে ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সবশেষ জিম্বাবুয়ে টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল ২০২০ সালে।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’