রাজশাহীতে আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শাহমখদুম থানার পুরাতন ফুদকিপাড়া অভয়ের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. আরিফ (২৫)। তাঁর বাড়ি শাহমখদুম থানার ফুদকিপাড়া খিরসিন এলাকায়। গতকাল দুপুরে তিনি রাজশাহীর আদালত থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মহানগর পুলিশ।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে মাদক মামলার আসামি আরিফকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান আসামিকে হাতকড়া পরা অবস্থায় আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আরিফ পালিয়ে যান।

পুলিশের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার পরপরই পুলিশ পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য নগরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করে এবং বিভিন্ন থানার টহল দলকে সতর্ক করে বার্তা দেয়। পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাঈনুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিবির একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১১টার দিকে শাহমখদুম থানার পুরাতন ফুদকিপাড়া অভয়ের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, গ্রেপ্তারের পর আরিফের বিরুদ্ধে নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। পরে ওই মামলায় তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ