কুমিল্লার দেবিদ্বারে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের জাফরগঞ্জ এলাকায় ট্রাকচাপায় আব্দুল্লাহ (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাফরগঞ্জ গঙ্গামণ্ডল রাজ ইন্সটিটিউটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল্লাহ দেবিদ্বার উপজেলার শাকতলার আব্দুল আওয়াল ভূঁইয়ার বড় ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেবিদ্বারগামী একটি পালসার মোটরসাইকেলকে কুমিল্লাগামী একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুল্লাহ নিহত হন এবং পিছনে বসা একজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যান।

নিহতের ছোট ভাই আবু বকর ভূঁইয়া জানান, আব্দুল্লাহ খালার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রামপুরে যাওয়ার কথা বলে সকালে বাড়ি থেকে বের হন। খালার বাড়িতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে জাফরগঞ্জ এলাকায় তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। কিছুদিন পরেই তার বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল।

নিহত আব্দুল্লাহর স্ত্রী হায়াতী আক্তার বলেন, ৪ বছর আগে ভালোবেসে আমাদের বিয়ে হয়। ওমর ভূঁইয়া নামে আমাদের ৪ বছরের ছেলে সন্তান আছে।

মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পাজভেজ আলী বলেন, দুর্ঘটনার পরে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করি এবং ঘাতক ট্রাকটি আটক করি। নিহতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাক ড্রাইভারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল পাকিস্তান-সৌদি আরব

পাকিস্তানের ওপর কেউ হামলা চালালে সৌদি আরব তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। আবার সৌদি আরবের ওপর কেউ আগ্রাসন চালালে পাকিস্তানও সৌদি আরবকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ঠিক এমনই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান।

জিও নিউজের খবর অনুসারে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সৌদি আরব সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ চুক্তির কথা জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’

চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় যে, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামিক সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের দীর্ঘ অংশীদারত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণেই শরিফ সৌদি আরব সফরে গেছেন বলেও তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া এই প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে এখন ‘এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বিবেচনা করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে। তারা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের জন্যও এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা, ইসরায়েলের হামলা, দোহা সম্মেলন এবং আরব বিশ্বে সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির তাৎপর্য অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্ধিত হুমকির সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করছে। 

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ