গাজীপুরে বাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
Published: 18th, April 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার আনসার রোড এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী লেনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ নিহতের নাম জানাতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সৌখিন পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল চালক রাস্তায় ছিটকে পড়ে মারা যান। তার বয়স আনুমানিক ২৩ বছর।
তারা আরো জানান, দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটি পালিয়ে যায়। পরে পেছনে থাকা আরেকটি সৌখিন পরিবহন বাস থামিয়ে ওই বাসটির তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশকে জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
চকরিয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২
হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় মিলেছে
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি আইয়ুব আলী বলেন, “বাসের ধাক্কায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/রফিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’