মেঘদলের নতুন গান ‘গোলাপের নাম’ আসছে। আজ শুক্রবার রাত ৮টায় গানটির ভিডিও চিত্র প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছে ব্যান্ডটি।
এটি মেঘদলের তৃতীয় অ্যালবাম ‘অ্যালুমিনিয়ামের ডানা’র সপ্তম গান। গানটির কথা ও সুর শিবু কুমার শীলের। আর ভিডিও চিত্রের নির্দেশনা দিয়েছেন ব্যান্ডের সদস্য সৌরভ সরকার। এর আগে তিনি ‘মায়া সাইকেল’ গানের ভিডিও চিত্রেরও নির্দেশনা দিয়েছেন।
গানটি নিয়ে মেঘদলের গিটারিস্ট রাশিদ শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটি একটি প্রেমের গান। এই গানের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের বসবাস, ২০১৭ সাল থেকে গানটির কাজ করছিলাম। তাই গানটির সঙ্গে আমাদের অনেক স্মৃতি।’
রাশিদ শরীফ জানান, ‘অ্যালুমিনিয়ামের ডানা’ অ্যালবামে মোট ১০টি গান থাকবে। বাকি তিনটি গান এ বছরই প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
মেঘদলের বর্তমান সদস্য হিসেবে আছেন শিবু কুমার শীল (কথা, সুর, কণ্ঠ), মেজবাউর রহমান সুমন (কথা, সুর, কণ্ঠ), রাশিদ শরীফ শোয়েব (কণ্ঠ, গিটার), আমজাদ হোসেন (ড্রামস), এম জি কিবরিয়া (বেজ), তানভির দাউদ রনি (কি–বোর্ড), সৌরভ সরকার (বাঁশি, ক্ল্যারিওনেট, স্যাক্সোফোন)।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ নট র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’