রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আকরাম আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি ও তার আরেক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় র‌্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে নওগাঁ সদরের রামরায়পুরের আড়পাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মহানগরীর তলাইমারী শহীদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে নান্টু মিয়া (২৮) ও একই এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে খোকন মিয়া (২৮)। এর মধ্যে, নান্টু মিয়া মামলার প্রধান আর খোকন মিয়া তিন নম্বর আসামি।

আরো পড়ুন:

নিজ ঘরে মিলল যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ

মুন্সীগঞ্জে ভাড়া বাসায় মিলল শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ

র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘‘শনিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’’

এর আগে, শুক্রবার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকা থেকে রুমেল (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। রুমেল তালাইমারি এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল তিনে।

এর আগে, গত বুধবার মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেরা আকরাম আলীকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা মেডিকেল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মহিলা ওয়ার্ড থেকে সজীব দাস পার্থ (২১) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। 

বুধবার (৩০ জুলাই) রাত দেড়টার দিকে তাকে আটক করা হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, রাতে মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি কুলসুম বেগম (৫৪) নামের এক নারী রোগীকে হুইলচেয়ার থেকে জোর করে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। এতে রোগী পড়ে যান। তা দেখে ওয়ার্ডের লোকজন ও আনসার সদস্যরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিটিকে পালানোর চেষ্টাকালে ধরে ফেলেন। পরে তাকে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ড থেকে রোগীর স্বজন ও আনসার সদস্যরা ভুয়া চিকিৎসক সজীব দাস পার্থ এবং তার এক সহযোগী মানিক মিয়াকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন।”

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সজীব দাস নিজেকে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার বিলবাড়ি পেড়কুড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং রানেশ চন্দ্র দাসের ছেলে বলে পরিচয় দেয়। দাবি করে, পাবনা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সে।

পরিদর্শক ফারুক আরো বলেন, “তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ছেলেটির মানসিক সমস্যা রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় আসছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বুলবুল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ