চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. শাহাব উদ্দিন (৩৮) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাব উদ্দিন রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শুকমনিয়া গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে। তিনি কক্সবাজার শহরে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,  কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মোটরসাইকেল আরোহী শাহাব উদ্দিন আরেকটি দ্রুতগামী ডাম্পারের (মিনি ট্রাক) চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।

স্থানীয় ঝিলংজা  ইউপি সদস্য আবদুর রশিদ বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুরুতর আহত শাহাব উদ্দিনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহাব উদ্দিন কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

ইলিয়াস খান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ডাম্পার ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ