মিছিল নিয়ে সিনেমা হলে আফরান নিশোর শতাধিক ভক্ত
Published: 19th, April 2025 GMT
এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো মধ্যে দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলেছে আফরান নিশোর ‘দাগি’। শিহাব শাহীন পরিচালিত এ সিনেমা নিয়ে এখনও দর্শক উন্মাদনা এখনো কমেনি। সেই উন্মাদনায় ভাসলেন আফরান নিশোর শতাধিক ভক্ত। মিছিল নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখলেও তারা।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে রাজধানীর এসকেএস টাওয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্সে একশ'রও বেশি নিশো ভক্ত ‘দাগি’ সিনেমা দেখেন। এর আগে ‘দাগি’ সিনেমার ব্যানার হাতে র্যালি নিয়ে এসকেএস টাওয়ারে প্রবেশ করেন ভক্তরা। এ সময় তাদের পরনে ছিল ‘দাগি’ সিনেমার পোস্টারের টি-শার্ট।
ভক্তদের এমন আয়োজনে উচ্ছ্বসিত ‘দাগি’ টিম। ভক্তদের উৎসাহ দিতে তাদের সঙ্গে দেখা করেন ‘দাগি’ সিনেমার অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে ‘দাগি’ সিনেমা প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল সমকালকে বলেন, “আফরান নিশো বাংলাদেশের অন্যতম বড় তারকা। তার জন্য ভক্তদের উন্মাদনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভাক্তদের আয়োজনটা এমন হবে সেটা আমরা ভাবিনি। গতকালই আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। ফলে তাদের উৎসাহ দিতে আমাদের ‘দাগি’ সিনেমার অনেকেই তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সবার জন্য আমার শুভকামনা।”
শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। এতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপুসহ অনেকে।
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড এবং সহপ্রযোজনায় আছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ আফর ন ন শ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।