নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শনিবার সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ভিডিওতে দেখা যায়, এনায়েত হোসেন একটি লিখিত আবেদনের সঙ্গে দেওয়া টাকা নিয়ে বলছেন– ‘কম টাকা দিলে সম্মান থাকে।’ এর পর তিনি টাকাসহ আবেদনটি নিজের ড্রয়ারে রেখে দেন। ভিডিওতে ওসির সামনে আড়াইহাজারের খাগকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেনকে দেখা যায়।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন এনায়েত হোসেন। খাগকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুম শিকারীকে দুই পাশে বসিয়ে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে আসা ভিডিওর ঘটনা পাঁচ-ছয় মাস আগের। মারামারির ঘটনায় খাগকান্দা ইউনিয়নের এক নারী অভিযোগ দিলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেনকে দায়িত্ব দিই। তিনি ঘটনাটি মীমাংসা করলেও বাদীর জন্য ক্ষতিপূরণ আনেননি।’

ওসির ভাষ্য, পরে আমি বিবাদীদের ডেকে দুই-আড়াই হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে আবেদনপত্রের সঙ্গে দিতে বলি। তাদের টাকা আমি সবার সামনে ড্রয়ারে রেখে পরে বাদীকে দিয়েছি। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এখন ঘটনাটি ছড়ানো হচ্ছে।

বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘ওসি দায়িত্ব দেওয়ার পর আমি বিবাদ মীমাংসা করেছি। পরে তিনি বাদীকে দেওয়ার জন্য বিবাদীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমাদের সামনে ড্রয়ারে রাখেন। এখন ফেসবুকে যা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে ওসি দাবি করেন, আড়াইহাজার থানায় মামলা, জিডি ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কোনো টাকা দিতে হয় না। তবে ভিডিওতে শাহীন সিকদার নামে ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, টাকা না দেওয়ায় আমার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ ১২ দিন আটকে রেখেছিলেন ওসি এনায়েত হোসেন। পরে দুই হাজার টাকা দিয়ে পেয়েছি।
ঊর্মি ইসলামের মন্তব্য, ‘এই ওসি অনেক বিপজ্জনক। টাকা না দেওয়ায় দুটি মিথ্যা মামলায় তিনি আমার স্বামীকে এক জেল খাটাচ্ছেন।’ এসব অভিযোগও মিথ্যা এবং বানোয়াট দাবি করেন এনায়েত হোসেন।

এদিকে গত বুধবার ওসির অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ ডাকযোগে পাঠিয়েছেন উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সালাউদ্দিন মোল্লা এবং জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম খোকনের স্ত্রী আনোয়ার আক্তার বেবী।

ওসি এনায়েতের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে দুটি কমিটি হয়েছে। ঢাকা রেঞ্জের
ডিআইজি ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার কমিটিগুলো করেছেন বলে জানা গেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র জন য ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় গভীর রাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মশাল মিছিল, আটক ৫

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মশাল মিছিল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত  রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার রঘুনাথপুর এলাকার ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে ছাত্রলীগ ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী মশাল হাতে নিয়ে একটি ঝটিকা মিছিল বের করেন। 

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দ্রুত জেলা যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং মিছিলটি প্রতিহত করেন।

পরে যুবদলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ফাহিম আহম্মেদ (২৩),  নিরব হোসেন (১৮), ফয়সাল (২০), অনিক আহমেদ অনিন (২১) এবং আবিরসহ (১৫) মোট পাঁচজন কর্মীকে আটক করে পুলিশের কাছে দেয়।

খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশের টহল দলের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দন চন্দ্র সরকার দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং আটকদের হেফাজতে নেন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যানার, কয়েকটি মশাল, লাঠি এবং একটি পিকআপভ্যানও জব্দ করে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, মিছিল করার সময় ছাত্রলীগের ৫ জনকে আটকের পর তাদের থানায় আনা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বর্তমানে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে কারণে নারায়ণগঞ্জ-৪ খালি রাখলো বিএনপি
  • বিএনপি কৃষকদের ফারমার্স কার্ড দিবে : সাখাওয়াত
  • তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে বন্দরে মহানগর বিএনপির কৃষক সভা
  • ১১২ টাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনে চাকরি পেলেন ১৪ জন
  • সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক হাটে নির্বাচনী প্রচারণায় মামুন মাহমুদ 
  • রূপগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • তারুণ্যের চোখে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার
  • বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন না’গঞ্জ জেলা আঞ্চলিক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
  • নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
  • ফতুল্লায় গভীর রাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মশাল মিছিল, আটক ৫