আমাদের চলার পথে এমন কিছু বিষয় এসে হাজির হয়, যা ব্যক্তিগতের চেয়েও ব্যক্তিগত; হতে পারে তা একান্ত ব্যক্তিগত। এই একান্ত ব্যক্তিগত কথা যখন তখন হুটহাট কাউকে বলা যায় না। এসব আবার নিজের ভেতর রাখতে গেলেও টেকা দায় হয়ে যায়। এসব কথার লোড সামলানো যায় না। বলি, মনের একান্ত গহীন গোপন না বলা কথা আর একান্ত ব্যক্তিগত কথা কিন্তু এক না। আপনার ব্যক্তিগত কথা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এ কথার কিছু আছে যা পরিবারের সঙ্গেও শেয়ার করা যায় না। তা কারও কাছে বলা যায় কথাগুলো চলুন আজ জেনে নিই–
যাকে বলবেন
আপনার ব্যথায় যে কেঁপে ওঠে তাকে মনের কথা বলার জন্য বাছাই করুন। এ তালিকায় বা এ গোপন কথার মানুষটা আপনার বাবা-মা কিংবা ভাইয়া-আপু অথবা দূরের কেউও হতে পারে।
মেপে নিন তাঁকে
যার কাছে ব্যক্তিগত কথা বলবেন আগে তাঁকে মেপে নিন। আপনার মাপে যদি তিনি টিকে যান তবু একটু দাঁড়ান। ছোটখাটো দু-একটা কথা দিয়ে আরেকটু যাচাই করে নিন। এতে টিকে গেলে নিশ্চিন্তে বলে যেতে পারেন মনের কথা।
রাখতে হবে বিশ্বাস
যার কাছে মনের গোপন কথা বলবেন তাঁর প্রতি সবসময় একটা শ্রদ্ধার মনোভাব রাখবেন। তাঁকে অবিশ্বাস করা চলবে না। কারও কান কথায় তাঁর ওপর রাগ করাও চলবে না। কারণ, আপনি তো তাঁকে আগেই বাজিয়ে দেখেছিলেন। তাছাড়া এই বিশ্বস্ত মানুষটির কাছে আপনি সমাধানও চাইতে পারেন। কেননা, আপনার সব কথা তাঁর চেয়ে বেশি কেউ জানে না। সুতরাং তাঁর কাছ থেকে ভালো একটা সমাধান বেরিয়ে আসাটাই স্বাভাবিক।
এই বিশ্বস্ত মানুষটি যে মেয়েদের ক্ষেত্রে শুধু মেয়ে হবে আর ছেলেদের ক্ষেত্রে শুধু ছেলে হবে– এমন ধ্যান-ধারণা বাদ দিন।
গোপনই থাক
কাকে বলেন আপনার কথা– এ নিয়ে ঢোল পেটাবেন না। গোপন মানুষটি সম্পর্কে দরকার না পড়লে আলোচনার দরকার নেই। তাঁকে থাকতে দিন তাঁর মতো করে। মন খারাপ হলে,
আর মনে কথা জমলে তাঁর কাছে গিয়ে গোপনে হাল্কা হয়ে আসুন। গোপন কথা বলার মানুষ বাছাই করুন।
কুৎসা রটনা নয়
প্রক্রিয়াটি যেহেতু একান্ত নিজের ওপর নির্ভর করে সেক্ষেত্রে কথাগুলোও ভেবেচিন্তে বলবেন। তবে অন্যকে নিয়ে কুৎসা রটনা থেকে বিরত থাকবেন। এতে করে আপনার ওপর একটা বাজে দৃষ্টি আসতে পারে গোপন কথা শেয়ার করা মানুষটির।
সাবধানের বিকল্প নেই
এ ছাড়াও বাছাই প্রক্রিয়াটি আপনার বুদ্ধিমত্তার ওপরও অনেকটা নির্ভর করে। আপনি আপনার মতো করে মনের গোপন কথা বলা লোক ঠিক করতে পারেন। আবার কিছু লোক আছে যাদের সব কথা বলা না গেলেও অনেক কথা বলা যায়। এ ক্ষেত্রে ক্যাটেগরি ভাগ করে গোপন কথা বলে যেতে পারেন। তবে ‘সাবধানের বিকল্প নেই’– কথাটা মাথায় রাখবেন। u
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আপন র ব এক ন ত বলব ন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’